নিজস্ব সংবাদদাতা, আরামবাগঃ
অবৈধ সম্পর্কের জেরে কারাবাসে যেতে হলো স্ত্রী ও তার প্রেমিককে। জানা গিয়েছে,পাশের গ্রামের এক ব্যক্তির সাথে পরকিয়া সম্পর্কের কথা জানতে পেরে প্রতিবাদ করায় স্বামীকে খুন করার অপরাধে যাবজ্জীবন কারাদন্ড হল স্ত্রী ও তার প্রেমিকের।এমনই রায় ঘোষণা করেছে আরামবাগ মহকুমা আদালত।ঘটনা আরামবাগের চুনাইট গ্রামের।গত ৩ জুলাই ২০১২ সালে রাত ১১ টার সময় হঠাৎ ধীরেন মালিককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি করেন তার স্ত্রী মীনা। তখনই তার আত্মীয়-পরিজনদের বিষয়টি জানান।তার দেবর দশরথ মালিক ও খোঁজাখুঁজি করেন ওই রাতেই। তারপরেই তার দেবরকে তিনি বলেন যে সামনে ওই পুকুরের কাছে একটু খুঁজে দেখার জন্য।
তারপর সেখান থেকেই উদ্ধার হয় রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত ধীরেন মালিকের দেহ। পুলিশে খবর দেওয়া হয়।ঐদিনই মৃত ধীরেন মালিকের ভাই দশরথ মালিক আরামবাগ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন বৌদি ও তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। পরের দিন ৪ জুলাই এই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিযুক্ত স্ত্রী মীনা মালিক।পরে দেড় মাস পর অভিযুক্ত প্রেমিক মোকা সিং আত্মসমর্পন করেন আদালতে এরপর।এর পরে তারা কয়েক মাস জেল খেটে জামিনে মুক্ত হলেও মামলা চলছিল।সরকারী আইনজীবী নব কুমার মজুমদার এই মামলার সাক্ষী ও প্রমাণাদি আদালতে পেশ করেন।এই মামলায় বুধবার আরামবাগ মহকুমা আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা দ্বিতীয় বিচারক সুরথেশ্বর মন্ডল তাদের দোষী সাব্যস্ত করেন এবং বৃহস্পতিবার তাদের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের সাজা ঘোষণা করেন। এই রায় শোনার পর দশরথ মালিক বলেন, আমার দাদা খুব সহজ-সরল মানুষ ছিলেন তাকে যারা পরিকল্পনা করে খুন করল,তাদের ফাঁসি হলে খুশি হতাম।
এদিকে দোষী মোকা সিং এর স্ত্রী প্রতিমা সিং আদালত চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং বলেন, আমার স্বামীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।ওই পরিবারের সাথে আমাদের অনেক দিন ধরে আত্মীয় সম্পর্ক ছিল কিন্তু এইভাবে শত্রুতা করবে এটা কখনো বুঝিনি। আমরা গরীব মানুষ জাল টেনে খাই।কি করে সংসারের খরচ চালাবো?জাল টেনে কোন রকমে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছি।ভগবানের উপর বিশ্বাস আছে, আমার স্বামী নির্দোষ।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহার শহরে অধিকার যাত্রা বিপিএমও-র
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584