শিবশঙ্কর চ্যাটার্জ্জী, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ
লকডাউন চলাকালীন এলাকায় ত্রাণ বিলিতে বৈষম্যতার প্রতিবাদ করায় পুলিশ একজনকে পাকড়াও করার প্রতিবাদে ও অবিলম্বে তাকে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করল স্থানীয় বাসিন্দারা।
আজ দুপুরে বালুরঘাট শহরের রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দারা মিছিল করে পুলিশের এই ভুমিকার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করতে আসে। বালুরঘাট থানা খবর পেয়ে ব্যবস্থ্যা নিলেও ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা থানা চত্বরে ঢুকে পড়তে সক্ষম হয়। এরপরেই থানার উচ্চপদস্থ অফিসাররা তাদের ওই যুবককে গ্রেফতার বা আটক করা হয়নি, এমনকি তাকে লকাপেও ঢোকানো হয়নি, শুধু মাত্র জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিলে উত্তেজিত বাসিন্দারা থানা ঘেরাও থেকে সরে আসে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে ৬৪ জন ভবঘুরেকে খাওয়ালেন আরপিএফ – জিআরপিরা
বালুরঘাট শহরের পুরনো ২০ নম্বর ওয়ার্ডের রবীন্দ্রনগর এলাকার ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত পরশু তাদের এলাকায় একটি রাজনৈতিক দল ত্রাণ নিয়ে হাজির হয়। কেননা ওই এলাকায় প্রচুর দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের বাস। ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা বালুরঘাট থানা চত্বরে দাঁড়িয়ে একের পর একজন করে অভিযোগ জানান ওই রাজনৈতিক দলের নেতারা এলাকায় ত্রান নিয়ে গিয়ে সেই ত্রান বিলিতে বৈষম্য করছিলেন। মুখ দেখে ত্রাণ বিলি করার পাশাপাশি কাউওকে কম কাউকে বেশি ত্রাণ দেওয়া হচ্ছিল। এই দেখে স্থানীয় সব বাসিন্দাই তাদের এই ত্রাণ বিলি নিয়ে প্রতিবাদ জানায়। তারা বার বার সমান ভাবে সবাইকে ত্রাণ বিলির দাবি জানাতে থাকলে এই নিয়ে সেসময় ওই ত্রাণ বিলি দলের সাথে উত্তেজনা দেখা দেয়। প্রবল বাধার মুখে পড়ে তারা ত্রাণ বিলি না করে ফিরে যায়।
রবীন্দ্রনগর এলাকার বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ বিষয়টি সেখানেই সেদিনের মত শেষ হয়ে যায়। কিন্তু আজ সকালে বালুরঘাট থানা থেকে পুলিশ ওই এলাকায় গিয়ে কেন ত্রান বিলিতে বাধা দেওয়া হয়েছে সে নিয়ে এক অপ্রাপ্ত বয়সের যুবককে বাড়ি থেকে থানায় তুলে নিয়ে আসে।স্থানীয়দের অভিযোগ, পাশাপাশি পুলিশ তাদের দেখে নেওয়ারও হুমকি দেয়। যদিও পুলিশের তরফে সে অভিযোগ অস্বিকার করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই আচরনে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। এরপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশের এই ভূমিকার প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি অবিলম্বে ওই যুবককে ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে এলাকা থেকে মিছিল করে বালুরঘাট থানা ঘেরাও করতে চলে আসে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
যদিও পরে থানার আই সি জানিয়েছেন, ভুল বোঝাবুঝিতে এই অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে। যুবকটিকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে তিনি ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584