পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় দিল্লিতে আরও এক সপ্তাহের লকডাউন, ঘোষণা কেজরিওয়ালের

0
59

নিজস্ব সংবাদদাতা, ওয়েব ডেস্কঃ

গত সপ্তাহে দিল্লি জুড়ে ৬দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল, তার মেয়াদ ৩ মে পর্যন্ত বাড়ানো হল।করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে বিপর্যস্ত গোটা দেশ, বাড়ছে অক্সিজেনের চাহিদা কিন্তু পর্যাপ্ত যোগান নেই।তার মধ্যে দিল্লির অবস্থা শোচনীয়। চরম অক্সিজেনের ঘাটতিতে ভুগছে রাজধানী। বহু রুগী মারা যাচ্ছেন অক্সিজেনের অভাবে।

cm kejriwal | newsfront.co
অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ফাইল চিত্র

এতটাই শোচনীয় পরিস্থিতি যে দিল্লি হাইকোর্ট কেন্দ্রীয় সরকারকে নজিরবিহীন ভাষায় ভর্ৎসনা করে নির্দেশ দেয় , “ভিক্ষে করুন, ধার করুন, চুরি করুন …যে ভাবে সম্ভব অক্সিজেন যোগান দিন।”পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গত সপ্তাহে দিল্লি জুড়ে ৬ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সেই লকডাউন আরো এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩মে পর্যন্ত করা হলো, ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল।মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর ঘোষণা করলেন কেজরিওয়াল।

আরও পড়ুনঃ মাস্ক না পারলেই আইনি ব্যবস্থা, নতুন নির্দেশিকায় জানালো নবান্ন

দিল্লিতে অক্সিজেনের অভাবে বহু রোগী মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অক্সিজেন সরবরাহ নজরে রাখতে এদিন একটি পোর্টালও লঞ্চ করলো দিল্লি সরকার। মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এদিন বলেন, ‘আমরা একটি পোর্টাল চালু করেছি। এতে প্রতি দু’ঘণ্টা অন্তর অক্সিজেনের পরিস্থিতি আপডেট করা হবে। যার ফলে উৎপাদনকারী, সরবরাহকারী এবং হসপাতালগুলির অক্সিজেন ম্যানেজমেন্ট-এর সুবিধা হবে। এই ক্ষেত্রে কেন্দ্র এবং রাজ্য একসঙ্গে মিলেই কাজ করছে।”

গত ৪ দিন ধরে দৈনিক সংক্রমণ ৩ লাখের উপরেই রয়েছে। অন্যান্য রাজ্যের মতো দিল্লিতেও এই পরিস্থিতিতে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং একই সঙ্গে বেড়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। গত ৬ দিন লকডাউন থাকা সত্ত্বেও পরিস্থিতি আয়ত্বে আসেনি উল্টে অবনতি হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৫৭ জনের। আক্রান্ত হয়েছে ২৪১০৩। সামগ্রিক ভাবে সবদিক বিবেচনা করে তাই লকডাউনের মেয়াদ আরও এক সপ্তাহ বাড়িয়ে ৩মে পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নিল কেজরিওয়াল সরকার।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here