শরীয়তুল্লাহ সোহন, মুর্শিদাবাদঃ
লালগোলার গর্ব তথা জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী স্কুল “লালগোলা শৈলজা মেমোরিয়াল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়”। এখানে প্রায় লালগোলার বিভিন্ন প্রান্ত আগত দুই হাজার মত ছাত্রী পড়াশোনা করেন। স্কুলের উপস্থিতি লালগোলা রাজবাড়ী ও দিঘির সংলগ্ন রাস্তার ধারে। স্কুলের দক্ষিণ পাশে জেল ময়দান, বিডিও অফিস, উত্তর দিকে রাস্তা সহ বিস্তৃর্ণ জলহীন দিঘি। পিছনে অর্থাৎ পশ্চিম দিকে রাজবাড়ী, যার অধিকাংশটাই এখন মুক্ত সংশোধনাগারে পরিণত হয়েছে তারপর কালী মন্দির আর পূর্বে তথা স্কুলের সামনে বিস্তৃর্ণ আমবাগান। পরিচর্যার অভাবে আমবাগান প্রায় ধ্বংসের পথে। কোন ক্রমে কিছু গাছ এখনও বহু প্রতিকূলতার সাথে লড়াই করে টিকে আছে। এখন বাগানের অধিকাংশ অংশ জুড়ে গুল্মজাতীয় গাছের গভীর জঙ্গল। যা বাগানটিকে ভয়ংকর করে তুলেছে।
বাগানের ভয়ংকরতার কলোরব আরও বৃদ্ধি পেয়েছে মাতাল, জুয়াড়িদের উপস্থিতিতে। তাছাড়া প্রায় বছর দুয়েক আগে এক বর্বরোচিত ঘটনা গোটা লালগোলাকে কাঁপিয়ে দিয়েছিল। একদল ছেলে একটি মেয়েকে তুলে এনে গণধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যার চেষ্টা করে। যার ফলে নড়েচড়ে বসে লালগোলা থানা সহ বিডিও অফিস পর্যন্ত। লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সহায়তায় এবং প্রশাসনের উপস্থিতিতে শুরু হয় জঙ্গল পরিষ্কার এর কাজ কিন্তু কাজটি কাকতলীয়ভাবে মাঝ পথে বন্ধ হয়ে যায়। অনেকের দাবি বাগানটি বর্তমানে মুর্শিদাবাদ-নদীয়া ফরেস্ট ডিপার্টমেন্টের আন্ডারে, তারা নাকি চান না এই জঙ্গল কাটা হোক।
অন্যদিকে কোভিড-19 প্যানডেমিক পরিস্থিতির জন্য প্রায় দুই বছর থেকে স্কুল বন্ধ। পূজার পরে স্কুল খোলার কথা শুনে চিন্তিত অভিভাবকরা। কারণ তাঁরা স্কুল সংলগ্ন পরিবেশ ও রাস্তার দুপাশের জঙ্গল নিয়ে খুব চিন্তিত। গার্জেনদের দাবি স্কুল খোলার পূর্বে সমস্ত জঙ্গল কেটে অতি শীঘ্রই এলাকাটিকে একটি নিরাপদ জায়গা হিসেবে তুলতে হবে। এছাড়াও বহু পথ চলতি মানুষের বক্তব্য অনুযায়ী, স্কুলের পাশ দিয়ে যে রাস্তাটি গিয়েছে সেই রাস্তা বেয়ে প্রতিনিয়ত বহু মানুষ বাজার-হাট সহ লালগোলা ব্লকে যায়। কিন্তু পরিতাপের বিষয় হল রাস্তার পরিস্থিতি প্রচন্ড বাজে, দিনের বেলায় বিভিন্ন নেশা সিক্ত মানুষ রাস্তা লাগোয়া জঙ্গলে বসে মাদকদ্রব্য সেবন করেন।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদের বিভিন্ন পুজো কমিটির দোরগোড়ায় নিউজফ্রন্ট
এছাড়াও বিভিন্ন অসৎ মনোভাবাপন্ন মানুষজন সবসময় ঘুরঘুর করে। সন্ধ্যা হলেই এলাকাটি পরিণত হয় অন্ধকূপে কারণ যথাযথ লাইটের ব্যবস্থা নেই। তাই তাদের প্রশাসনের কাছে দাবী, ‘অবিলম্বে এলাকাটিকে অপরাধ মুক্ত ও নেশা মুক্ত করে, রাস্তার দুপাশের জঙ্গল পরিস্কার করে লাইট দিয়ে যথাযথভাবে চলাচলের উপযোগী করে তুলতে হবে পূজোর আগেই। নচেৎ তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584