তন্ময় মণ্ডল, কলকাতাঃ
দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন বস্তি কল্যাণ সমিতি তাদের বসার জায়গা স্থায়ীকরণ করার দাবিতে আজ কলকাতা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে। দুর্গাপুর স্টিল টাউনশিপের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল প্রায় ৬৫-৭০ বছর আগে গড়ে উঠেছিল। এই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি জায়গা হল মধুপল্লী, ধোবিঘাট, কমলাইতলা, বিজুপাড়া, জে সি বোস রোড প্রভৃতি। উক্ত অঞ্চলটি দুর্গাপুর মিউনিসিপালিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত।
এই দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল সংলগ্ন বস্তি কল্যাণ সমিতি এমন একটি জায়গা যেই অঞ্চলের মানুষজন স্থায়ীকরণ পাননি। কিন্তু আজ থেকে প্রায় ৫০ বছর আগে গড়ে ওঠা একটি প্রাইমারি স্কুল আছে ওখানে। শুধু তাই নয়, ওই এলাকায় বসবাসকারীর সংখ্যা ৩০,০০০-৩২,০০০।
২০১৯ সালে প্রকাশিত ভোটার তালিকা অনুসারে ১৬,৫০০ ভোটার কার্ড, রেশন কার্ড, আধার কার্ড রয়েছে। ডিএসপি কারখানায় ঠিকা শ্রমিক পার্শ্ববর্তী ছোটখাটো কারখানাগুলি এইখানকার লোকের উপরে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে নির্ভরশীল। এই সকল বাসিন্দারা দীর্ঘ বছর ধরে বসবাস করলেও স্থায়ী পাট্টা পায়নি। এমনকী বসবাসযোগ্য দুজন স্থায়ীকরণ না থাকার জন্য সরকারি যাবতীয় প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হচ্ছে এখানকার মানুষজন।
এদের দাবি, এই সমিতির পক্ষ থেকে দূর্গাপুরের মেয়র থেকে শুরু করে চেয়ারম্যান এসডিএম, ডিএম সবাইকে জানানো হয়েছে। এমনকী প্রশাসনের নজরে আনার জন্য প্রত্যেকেই অনশন করেছেন। কিন্তু কোনও ফল পাননি। তাই আজ রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে নবান্নে এই বিষয়ে আরও একবার দাবি জানালেন এই সমিতির সদস্যরা।
আজ সংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত কল্যাণ সমিতি উল্লেখ করেন যে বেআইনিভাবে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন রাজ্য সরকার ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে মাত্র ১৬ টাকা কাঠায় শর্তসাপেক্ষে দলিল দিয়েছে তাতে উল্লেখ রয়েছে সরকার প্রয়োজনে যেকোনও সময়ে জায়গা ফেরত নিতে পারে।
আরও বলেন যে ওই আইন অনুসারে দলিল মোতাবেক অনেক জায়গায় ডিএসপি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ফেরতও নিয়েছে এবং বসবাস করার জন্য লিজেও দিয়েছে। পাশাপাশি ওই অঞ্চলেরই অনেক জায়গা পাট্টাও দিয়েছে যেমন বেঙ্গল আম্বুজা, পলাশডিহা, আইকিউসিটি টাউনশিপ, নেতাজী কলোনি। এরপরেও কেন তাদের জায়গা স্থায়ীকরণ করা হবে না— সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584