পিয়া গুপ্তা,উত্তর দিনাজপুরঃ

গ্রামাঞ্চলের তৈরি কেক নামি দামি ব্রান্ডকে পিছনে ফেলে সাড়া ফেলেছে।উত্তর দিনাজপুর জেলার সবচাইতে পিছিয়ে পড়া এলাকা গোয়ালপোখরের প্রত্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে দীর্ঘ সাত দশকেরও বেশি সময় থেকে তৈরি হওয়া কেক সরবরাহ করা হচ্ছে জেলা সহ উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহরগুলিতে। এতদিনেও পাঞ্জীপাড়া নামে কি প্রত্যন্ত এলাকার কেকের সঙ্গে পাল্লা দিতে পারেনি অনেক নামিদামি ব্র্যান্ডের কেকও।বাঙালির সাধ এবং সাধ্যের মধ্যে থেকে তারা অনায়াসেই কেক কিনতে পারছেন।তাই সাধারণ মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখেই নানান রং বেরংয়ের এবং নানান ডিজাইনের কেক তৈরি হচ্ছে প্রত্যন্ত গ্রামে। হলোই বা গ্রাম।তাতে কি!কেক তৈরির ক্ষেত্রে আধুনিকতায় পিছিয়ে নেই কারিগররা।পাঞ্জীপাড়ার এক কেক তৈরির কারখানার মালিক সুরজিৎ সাহা জানান,দীর্ঘ সত্তর বছরের বেশি সময় ধরে তারা উত্তরবঙ্গের রায়গঞ্জ,ইসলামপুর নকশালবাড়ি এবং শিলিগুড়ি সহ বিভিন্ন শহরগুলিতে সরবরাহ করে আসছেন কেক।তবে অনেক নামিদামি ব্র্যান্ডের কেক থাকলেও তাদের কেকের এত কেন চাহিদা কেন সে প্রশ্নের উত্তর বুঝি এখনও জানা নেই তার।তবে বিভিন্ন শহর থেকে ওই প্রত্যন্ত এলাকায় কেক কেনার জন্য অনেকেই যোগাযোগ করছেন। মূলত জন্মদিনের নানান রঙ বেরঙের কেক তৈরিতে তাদের কারিগর যে যথেষ্ট দক্ষ এবং পটু সে কথা আর বলার অপেক্ষাই রাখে না।কারণ বিশেষ করে ইসলামপুরের যে সমস্ত দোকানগুলিতে তাদের তৈরি কেক বিক্রি হয় সেখানে একটা ক্রেতাদের চাহিদা রয়েছে।তাই এই ধরনের কেকই খোঁজেন ক্রেতারা।ক্রেতাদের কথায় এই কেক খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনি তাদের সাধ্যের মধ্যেও। ইসলামপুর অভিনন্দন মার্কেট কমপ্লেক্সের একটি কেকের দোকানের মালিক ইন্দ্রজিৎ দত্ত।সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হচ্ছিল তার সাথে।তিনি জানান,পাঞ্জীপাড়ায় তৈরি করা কেকের যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। ওই রকম অনেক দোকানেই বিশেষ করে সারা বছর জন্মদিনের অনুষ্ঠানে সেখান থেকেই ক্রেতাদের পছন্দের মত কেক সরবরাহ করা হয়।আর এছাড়াও রয়েছে ক্রিসমাসের কেক।সে সবও তারা সেখান থেকেই বেশিরভাগটাই আনেন।সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো একটা প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া কেক যেভাবে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন শহর গুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে তা একটা চমকই বটে। যদিও কেক প্রস্তুত কারক কারখানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তারা সত্তর বছর আগে যেভাবে গুণমানের বিষয়টি লক্ষ্য রাখতেন এখনো সেই দিকেই তাদের নজর রয়েছে ।তারা কোনোভাবেই ক্রেতাদের ঠকাতে চান না।অন্যান্যদের কাছ থেকে তারা বুঝি সেখানেই এগিয়ে।
আরও পড়ুন: কালিগঞ্জ থানার রক্তদান শিবিরে প্রথম রক্তদাতা জেলা পুলিশ সুপার
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584