পিয়া গুপ্তা,রায়গঞ্জঃ
স্ত্রীর মর্যদা ফিরে পেতে অবসর প্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের বাড়িতে ধর্নায় বসেছেন এক মহিলা।অভিযুক্ত স্বামীর দেখা না মিললেও তার ছেলে জানিয়েছেন,আদালত থেকে অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে আসুক।তবেই তাকে তার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে। মহিলার অভিযোগের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ অফিসারের ছেলে।
রায়গঞ্জ থানার কসবা এলাকার বাসিন্দা ফনীভূষন বর্মন রাজ্য পুলিশে কর্মরত ছিলেন।২০১০ সালে শিলিগুড়িতে থাকাকালীন শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ার বাসিন্দা গীতা বর্মনকে বিয়ে করেছিলেন ফনীবাবু।একবছর আগে ফনীবাবু চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন।ফনীবাবুর এক মেয়ে দুই ছেলে আছে।অন্যদিকে গীতাদেবীর ও এক ছেলে এক মেয়ে।গীতা দেবীর স্বামীর ছাড়া। শিলিগুড়িতে হোটেল ব্যবসা করে সংসার প্রতিপালন করেন।সেই হোটেল থেকেই ফনীবাবুর সঙ্গে পরিচয় হয় গীতাদেবীর।অভিযোগ,ফনীবাবু সেখানে অন্য এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠলেও পরবর্তীতে সেই মহিলা নিখোঁজ হয়ে যান।ফনীবাবুর কাছ থেকে সেই মহিলা হাত ছাড়া হবার পর স্বামী পরিত্যাক্ত গীতাদেবীর সঙ্গে প্রায় জোর করেই সম্পর্ক গড়ে তোলেন।কালীমন্দিরে নিয়ে গিয়ে তাকে বিয়ে করেন বলে গীতাদেবীর অভিযোগ।এভাবেই ঠিক ঠাকই চলছিল ফনীবাবু এবং গীতাদেবীর সম্পর্ক।গীতাদেবীর দাবি ফণীবাবু কোনদিন তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেননি।তবে তাদের মধ্যে হৃদ্যতা ভালই ছিল।গত কয়েকদিন যাবৎ ফনীবাবু তাকে ফোন করেন না।আবার ফনীবাবুকে ফোন করলে সেই ফোন গ্রহন করছেন না।এই ঘটনাতেই তার মনে হয়েছে ফনীবাবু আর তার সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইছেন না।টাকা পয়সা গাড়ি বাড়ি নয় স্ত্রীর মর্যদা ফিরে পেতে ফনীবাবুর বাড়িতে ধর্নায় বসেছেন গীতাদেবী।তার দাবি ফনীবাবু রায়গঞ্জে তিনি যে সংসার করছেন সেই সংসার তিনি করুন।মাসের পনেরো দিন তার কাছে থাকতে হবে।এই ঘটনায় ফনীবাবুর দেখা মেলে নি।ফনীবাবুর ছেলে অপূর্ব বর্মন জানিয়েছেন,মহিলা যে দাবি করছেন এটা তাদের জানা ছিল না।আদালতের মধ্যমে অধিকার পেলে তারা সেটা ফিরিয়ে দেবেন।
আরও পড়ুন: মন্দিরের আদলে যাত্রী প্রতীক্ষালয়
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584