মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ককে কাটমানির টাকা ফিরত দিতে এলাকায় ফিরে আসার আমন্ত্রণ জানালেন কোচবিহারের সিতাই এলাকার বিজেপি নেতা কর্মীরা। আজ স্থানীয় বিজেপি নেতা নূর মহম্মদ প্রামাণিকের নেতৃত্বে বিশাল মিছিল করে বিজেপি। সিতাই থানা ও বিডিও অফিস চত্বরে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
ওই মিছিল থেকেই সিতাই এলাকার বিজেপি নেতা নূর মহম্মদ প্রামাণিক জানান, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়া এলাকার বহু গরীব মানুষের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কাটমানি না দিলে এলাকার কোন উন্নয়ন মূলক কাজ তিনি করতে দিতেন না। গরীব মানুষের ওই টাকা ফেরত দেওয়ার জন্য তাঁকে সিতাইয়ে আসার আমন্ত্রণ জানানোর জন্য এই মিছিল বলে নূর মহম্মদ প্রামাণিক জানিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, “এরপরেও যদি না আসেন, তাহলে তাঁকে পুলিশ গ্রেপ্তার করুক।সেই দাবিও আমরা জানিয়েছি।”
সিতাইয়ের বিজেপি নেতৃত্বের ওই আমন্ত্রণ জানানোর প্রসঙ্গ নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ চন্দ্র বসুনিয়াকে মোবাইল ফোনে ধরার চেষ্টা করেও পাওয়া যায় নি। তবে দিনহাটা তৃণমূল কংগ্রেসের অনেক নেতাই জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সিতাই এলাকায় ব্যাপক সন্ত্রাস করছে বিজেপি। সাধারণ তৃণমূল কর্মী থেকে বিধায়ক,তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সকলের হয় বাড়ি ভাঙচুর, নতুবা হামলার মুখে পড়তে হয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হচ্ছে। এই সন্ত্রাস যে সাধারণ মানুষ মেনে নিতে পারছেন না।সেটা খুব অল্প সময়ের মধ্যে বিজেপি বুঝতে পারবে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি।
এবার লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী পরাজিত হয়। ওই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে থাকা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসকে সব থেকে বেশী ভোটে লিড দেয় সিতাই বিধানসভা কেন্দ্র। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের চিত্র পুরোপুরি পরিবর্তন হয়ে যায়। সেখানে আক্রান্ত হতে থাকেন তৃণমূল নেতারা। তাঁদের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কার্যত রাতারাতি পরিবার নিয়ে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র চলে যান বিধায়ক। তাঁর খালি বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুনঃ চিকেন প্রসেসিং সেন্টারে নিয়োগ প্রক্রিয়া ঘিরে বিক্ষোভ
এই পরিস্থিতিতে বিধায়কের এলাকায় ফিরে যাওয়া অনেকটাই কঠিন বল। আর সেটা জেনেই স্থানীয় বিজেপির নেতৃত্বের ওই আমন্ত্রণ বলে মনে করা হচ্ছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584