শ্যামল রায়,কাটোয়াঃ
প্রায় আড়াই হাজার বছরের প্রাচীন শহর কাটোয়া।এই কাটোয়া শহরে নবদ্বীপের শ্রী চৈতন্য দেব সন্ন্যাস দীক্ষা গ্রহণ করেছিলেন কেশব ভারতীর কাছে।আর কেশব ভারতীর কাছে সন্ন্যাস দীক্ষা নেওয়ার পরে তার বিশ্রামস্থল হয়ে উঠেছিল মাধাই তলা।এছাড়াও কাটোয়া শহর জুড়ে রয়েছে অসংখ্য মঠ-মন্দির।রয়েছে গৌরাঙ্গ মন্দির সখীর আখড়া আশ্রম গঙ্গার সংযমী স্থল হারি বাড়ির দুর্গা ক্ষ্যাপা কালিতলা ,ঝোপা কালিতলা গুরুদুয়ার সহ একাধিক মঠ- মন্দির। তাই বছরের প্রতিটি দিন দেশ বিদেশ থেকে বহু পর্যটক কাটোয়া শহরে ঘুরতে আসেন।
শীত পড়তেই কাটোয়া শহরে দেখা গেল পর্যটকদের ভিড়।
রবিবার কাটোয়া শহরের ভাগীরথী ঘেষা যতগুলো স্নানের ঘাট আছে সে সব ঘাটে দেখা গেল দর্শকদের স্নানের ভিড়।
তাই কাটোয়া শহরের ভাগীরথী ঘেষা সবথেকে প্রাচীন আদি ঘাট হলো নিচু বাজার এর আদি ঘাট।এই ঘাটে প্রতিদিন হাজার হাজার পূণ্যার্থী স্নান করে থাকে।স্থানীয় ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন যে এই ঘাটে যে সকল যাত্রীরা স্নান করতে আসেন তাদের পক্ষে খুবই বিপদজনক অবস্থা রয়েছে।স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ী কার্তিক দাস, সুব্রত দাস,অজয় সাহা প্রমূখ জানিয়েছেন যে ঘাটের সিঁড়ি সংখ্যা অনেকটা বাড়ানো দরকার,তা না হলে অনেকেই হঠাৎ করে জলে নামতে গেলে গভীরতম জলে ডুবে যায় যার ফলে একটা আতঙ্ক থেকে যায় স্নান করতে আসা যাত্রীদের মধ্যে।এছাড়াও ঘাটে নেই কোনো পোশাক পাল্টানোর ঘর।অথচ অতি প্রাচীন শহর কাটোয়া ঘিরে রয়েছে অসংখ্য মঠ-মন্দির এবং পুণ্যার্থীদের ভিড়।কাটোয়া শহরের গবেষক তারকেশ্বর চট্টরাজ জানিয়েছেন যে “কাটোয়া থেকে দাঁইহাট পর্যন্ত ভাগিরথীর পাড় ঘেঁষে রয়েছে কমপক্ষে ১২ টি ঘাট।এই সকল স্নান ঘাটের অধিকাংশই বেহাল অবস্থায় রয়েছে।তবে নিচু বাজার এর ঘাটতি হচ্ছে সবথেকে প্রাচীন ও আদি ঘাট।আমি একজন কাটোয়া বাসি হয়ে বলছি এই আদি ঘাটের সংস্কার করা আবশ্যক।”
স্থানীয় ব্যবসায়ী সুব্রত দাস জানিয়েছেন যে “আমরা কয়েক বছর ধরেই এই স্নান ঘাটের সংস্কার সে কাটোয়া পৌরসভা এবং উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ শেষ দপ্তর কেউ চিঠি দিয়েছি কোন কাজের কাজ এখন পর্যন্ত চোখে পড়েনি।”
এছাড়াও তিনি আরো জানিয়েছেন যে কোনো উৎসবকে কেন্দ্র করে এই সমস্ত ঘাটে হাজার হাজার দর্শনার্থী স্নান করতে নামেন কিন্তু তাদের পক্ষে বিপদজনক অবস্থায় স্নান সেরে উপরে উঠতে হয়।অনেক সময় কেউ না বুঝে গভীরতা এ পড়ে গেলে জলে ডুবে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে।
এই প্রসঙ্গে কাটোয়া পৌরসভা চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় বিধায়ক রবীন্দ্র নাথ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন যে “আমরা প্রতিটি ঘাটকে সংস্কার করে স্নান ঘাটের উপযুক্ত করে তুলবো।এছাড়াও পোশাক পাল্টানোর ঘর তৈরি করা হবে অনেক ক্ষেত্রে হয়েছে এবং যেগুলো হয়নি আগামী দিন করা হবে বলে তিনি জানিয়ে দিয়েছেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584