সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি শহীদের মায়ের

0
438

ভাস্কর ঘোষ, মুর্শিদাবাদ, ৪ নভেম্বর :

পাকিস্তানি জঙ্গিদের গুলিতে নিহত বিএসএফ জওয়ানের মৃতদেহ শনিবার সকালে পরিবারের লোকেদের হাতে তুলে দেওয়া হল। মুর্শিদাবাদের বহরমপুর থানার সাটুই ভগবানবাটি এলাকার বাসিন্দা তপন মন্ডলের কর্মরত অবস্থায় কাঁধে গুলি লেগে মৃত্যু হয়।বৃহস্পতিবার তাঁদের বাড়িতে ওই সেনা জওয়ানের মৃত্যু সংবাদ আসে। সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন পরিবারের লোকেরা। তাঁর শহীদ হওয়ার খবর শুনতেই গ্রামেও নেমে আসে শোকের ছায়া। জেলার পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে গান স্যালুটের মাধ্যমে মৃত জওয়ানকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর প্রথা মেনে বহরমপুর মহাশশ্মাণে ওই মৃত জওয়ানের দেহ সৎকার করা হয়।
পাকিস্তানি সেনার গুলিতে শহিদ হন বিএসএফের জওয়ান তপন মণ্ডল (২৬) । শনিবার সকালে কফিনবন্দী হয়ে ওই শহীদ জওয়ানের দেহ গ্রামের বাড়ি সাটুই ভগবানবাটিতে বিএসএফের পক্ষ থেকে নিয়ে আসা হয়। তাঁর বাড়িতে গ্রামবাসীদের ভিড় উপচে পড়ে। তাঁর মৃত্যুতে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিজনরা সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের দাবি তুলেছেন।
কাশ্মীর সীমান্তের সাম্বা সেক্টরে তপনবাবু বছর দেড়েক ধরে কর্মরত ছিলেন।

নিয়ে যাওয়া হচ্ছে দেহ

বিএসএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ সাম্বা সেক্টরে রুট মার্চ করছিলেন বিএসএফের জওয়ানরা। সেইসময় হঠাৎই গুলি চালাতে শুরু করে পাকিস্তানি রেঞ্জার্সরা। পাকিস্থানি সেনার পালটা জবাব দেন ভারতীয় জওয়ানরাও। শুরু হয় গুলি বিনিময়। ওই গুলিবর্ষণে কাঁধে গুলি লেগে গুরুতর জখম হন তপনবাবু। পরে বিএসএফের জওয়েনেরা তাকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেনা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই সেনা জওয়ানের। এদিন বিকাল চারটে নাগাদ বিএসএফের পক্ষ থেকে তাঁর পরিবারকে মৃত্যুর খবর জানানো হয়।
মৃত জওয়ানের মা সুমীতা মন্ডল পুত্র শোককে বুকে চেপে রেখে বলেন, “আমার একমাত্র সন্তান দেশের জন্য শহীদ হয়েছেন। কিন্তু এইভাবে পাকিস্তানি জঙ্গিদের গুলিতে আমার মত শত শত মায়ের কোল খালি হয়ে যাচ্ছে, এটা মানা যায়না। ভারত সরকারের কাছে আমার আবেদন, পাকিস্তানের মাটিতে দাঁড়িয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক ঘটিয়ে এর উপযুক্ত জবাব দিক ভারত। তবেই আমার বুক আনন্দে ভরে উঠবে। আত্মার শান্তি হবে আমার মৃত সেনা পুত্রের।”
মৃত জওয়ানের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মাস ছ’য়েক আগে বিয়ে হয় তপন মন্ডলের। তাঁর স্ত্রী সুজাতা মন্ডল। বাবা শিবনাথ মন্ডল পেশায় কৃষক। মা সুমীতা দেবী গৃহবধূ। পরিবারের একমাত্র সন্তান ছিলেন তপন মন্ডল।পুজোর সময় ছুটি বাড়ি এসেছিলেন তপন বাবু।তারপর ভাইফোঁটার পরের দিন ফের কাজে রওনা দেন তিনি।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here