পাঠকের মতামত:নোটবন্দি ভার্সেস কালাদিবস
( কাজীনূর জগতশেঠ)
আজ ৮ নভেম্বর ২০১৭। আজ থেকে ঠিক একবছর আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সর্বনাশা নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু ঘোষণাই নয়, সেদিনই রাত্রি বারোটার পর থেকে পুরাতন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়। এবং আগামী পঞ্চাশ দিনের মধ্যে সমস্ত নোট ব্যাঙ্ক মারফত রাজকোষে জমা করার কথা বলা হয়। পুরাতন নোট বাতিলের মাধ্যমে তিনি দেশের ধনী-কালোবাজারিদের উপর এক চূড়ান্ত কুঠারাঘাত করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি কালাধন ও জালটাকার গতিরোধ করে দেশকে সন্ত্রাসমুক্ত করা হবে। সেই সঙ্গে ভারতে ক্যাশলেস পদ্ধতির দ্রুত প্রসার ঘটবে, দেশের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি হবে ইত্যাদি ইত্যাদি। এক কথায় পুঁজিবাদের বিনাশ ঘটিয়ে আমজনতার মঙ্গলার্থে নোটবন্দির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে – শুরুতে এমনই বার্তা দেওয়া হয়েছিল।
ইন্ডিয়ান কিং মিস্টার মোদীর সেদিনের ঘোষণার পর সমগ্র দেশজুড়ে শুরু হয় তোলপাড়। একদিকে যেমন টাকা বদলানোর হিড়িক পড়ে যায়, অন্যদিকে তেমনি প্রতিবাদের ঝড় বইতে থাকে। তারপর আজ এক বছর কেটে গেল। যদিও টাকা বদলানোর হিড়িক কমে গেছে ঠিকই কিন্তু বিতর্কের বন্যা এখনো থামেনি। মোদীর নোটবন্দি যতই পুরাতন হোক না কেন, বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না। সবসময় সংসদ উত্তাল। নোটবন্দির সিদ্ধান্ত ঠিক না ভুল- তর্কটা শুধু এখানেই নয়, নোটবন্দির সিদ্ধান্ত আদৌ সাংবিধানিক ছিল কিনা সে বিষয়েও প্রশ্ন কম নয়। কিং মোদীর নোটবন্দির সিদ্ধান্ত যুগোপযোগী ছিল নাকি ঐতিহাসিক ভুল সেটির থেকে বড় বিষয় হলো, তার এই হঠকারিতা দেশের সংবিধানকে অবজ্ঞা করার সামিল বলেই অভিযোগ করেছেন প্রবাসী ভারতীয়গণ, মহারাষ্টের অগণিত কৃষক, বৃদ্ধা, এমনকি দেশের তাবড় তাবড় ধনী ব্যক্তিত্বও। বর্তমানে এই অভিযোগে সুপ্রিমকোর্টে কেশ চলছে। যাইহোক, নোটবন্দি সাংবিধানিক না অসাংবিধানিক তা সুপ্রিমকোর্টই বলবে। এই নিয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাই না।
নোটবন্দিকে ঘিরে দেশের প্রধানমন্ত্রী চারিদিকে একটি চক্রব্যূহ তৈরি হয়েছে। আজ তিনি যেখানেই যান কেন, নোটবন্দির উপর সাওয়াল এসে যাচ্ছে। যার উত্তর তিনি দিতে পারছেন না। অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের গৃহিত সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আজ সমগ্র দেশে নোটবন্দির বছরপূর্তি উপলক্ষে কালাদিবস পালিত হচ্ছে। যদিও নোটবন্দি নিয়ে প্রথম মুখ খুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পুরাতন নোট বাতিলের হঠকারিতা দেখে সেদিনই বাঙলীকন্যা এর ঘোর প্রতিবাদ করেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, *কালোটাকা উদ্ধারের জন্য নোটবন্দি নয়। কালো টাকা সাদা করতেই নোটবন্দি। ক্ষমতাসীন দলের স্বার্থেই এই কাজ।* সেদিন থেকে আজ অবধি তিনি মোদীর নোটবন্দির বিরুদ্ধে লেগে আছেন। তিনি আরো অভিযোগ করেন, নোটবন্দি একপ্রকার তুঘলকি সিদ্ধান্ত। এর ফলে বিদেশ থেকে কালো টালা উদ্ধার হয়নি। বরং এর ফলে প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে জিডিপির। তার উপর অসংগঠিত ক্ষেত্রে কর্মী ছাটাই, কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে, অনাহারে মৃত্যু হয়েছে অগণিতের। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেদিনই আরবিআই এর পিছু ধাওয়া করেছেন। এমনকি নোটবন্দির বিরুদ্ধে দিল্লি, পঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশ সব জায়গাতেই নোটবন্দিকে তুলোধনা করেছেন। এ প্রসঙ্গে দেশের অন্যতম অর্থনীতিবিদ তথা দেশের প্রাক্তণ প্রধানমন্ত্রী ড. মনমোহন সিং নোটবন্দর সিদ্ধান্তকে একপ্রকার সংগঠিত লুঠ বলে মন্তব্য করেন। শুধু তাই নয়, নোটবন্দি ইস্যুকে ঘিরে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে কখনো রাহুল গান্ধী, কখনো আসাউদ্দিন ওয়াইশী কিংবা কখনো লালুপ্রসাদ যাদব কেউই বাদ যাননি। তবে এদের কথা না হয় বাদই দিলাম কেননা এরা যে সবসময় বিপক্ষ দলের সমর্থনে যুক্তি দেখাবে তা তো নয়। রাজনৈতিক নেতা বলে কথা!
কিং মোদীর নোটবন্দির উপর দেশের আমজনতার বক্তব্যই আমাদের কাছে প্রণিধানযোগ্য। গত বছর ৮ নভেম্বর থেকে আজ অবধি সাধারণ মানুষের জবানিকেই আমরা প্রাধান্য দিব। এই নোটবন্দি সাধারণ মানুষের নজরে প্রত্যাশিত ছিল নাকি তা ভয়ঙ্করভাবে অপ্রত্যাশিত সে নিয়ে আলোচনা করা যাক। প্রকাশ থাকে যে, নরেন্দ্র মোদীর মেক ইন ইন্ডিয়ার আরেকটি অন্যতম উদ্দেশ্য হলো ডিজিটাল ভারত। সুতরাং বর্তমানে গুগল, ফেসবুক, হোয়াটসপ থেকে শুরু করে টিভির শত চ্যানেল আপনার ঘরে ঘরে। এই একটা বছর আম আদমির কাছে কতটা ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল তা আপনাদের সকলেই অবগত। ইলেকট্রিক মাধ্যমের কথা বাদই দিলাম, আপনারা তো নিজেরাও ওই একই পথের পথিক ছিলেন। সেদিন শত কাজ এড়িয়ে, জ্বরজ্বালা উপেক্ষা করে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকের মধ্যে আপনিও একজন নিশ্চয়। সারাদিন রোদে পুড়ে, অনাহারে একনিমিষে গোটাদিন দাঁড়িয়ে থাকার পর হাতে গোনা কয়েক নোট। তাও আবার প্রতিদিন ভাগ্যে মেলেনি। আবার চোখের সামনে বেলাইনে কেউ ঢুকে টাকা নিয়ে পালাচ্ছে। প্রতিবাদ করায় বিনিময়ে পুলিশের লাঠিচার্জ। কি গো! মনে পড়েছে এবার! সাধের নোটবন্দি।
আশ্চর্য্যের কথা। ভক্তরা কিন্তু আজো মোদীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তারা এখনো মোদীজীর সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ হিসেবে নোটবন্দিকেই গুরুত্ব দিয়ে চলেছেন। এটিই ছিল আচ্ছে দিনের শুভারম্ভ। তারা কিছুতেই হার মানতে চাইছেন না। স্বাধীনতার পর এই প্রথম কোনো হিন্দু জাতীয়তাবাদী শাসকের নামাঙ্কিত মুদ্রা হিসেবে মনে করছেন। তারা নতুন নোট গুলোতে তাদের মহারাজা মোদীর চিত্রাঙ্কন দেখার অভিপ্রায় করেছিলেন। তাই তো সেদিন আনন্দে মাতোয়ারা হয়েছিলেন, যেদিন নোটে চিপ থাকা কথা শোনা গেছিলো, মোদীর ছবি ভেসে আসার গল্প তৈরি হয়েছিল। তবে শুধু ভক্তরাই নয় আধুনিক শিক্ষিত সমাজ নতুন টাকায় চিপ সিস্টেম থাকার গল্পে বেশ মজে গিয়েছিলেন। তাতে নাকি স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা যাবে কার কাছে কত টাকা জমা আছে। বিস্মিত হয়েছিলাম। কিন্তু গল্প। তবে এই গল্পটা এখনো অনেকের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য হয়ে আছে। অনেকেই কল্পনার জগত থেকে বেরোতে পারেন নি। আর পারবেন কি করে! কালাধন ফিরে এলে যে, আম জনতার অ্যাকাউন্ট গুলোতে লাখ লাখ টাকা প্রবেশ করবে। সেইজন্য আজোও একশ্রেণির মানুষ সাহস দেখিয়ে সত্যিটা স্বীকার করে নিতে পারেননি। আর পারেননি নোটবন্দির মতো অপ্রাসঙ্গিক সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে।
যাইহোক নোটবন্দির তর্জমা এত সহজে শেষ হবার নয়। তর্ক চলবে। পক্ষে-বিপক্ষে মতামত চলতেই থাকবে। তবে আসুন একবার দেখে নিই যাকে ঘিরে আজকের কালাদিবস তার যৌক্তিকতা কতটা? এজন্য আমাদের সর্বপ্রথমে নোটবন্দিকে দাঁড়িপাল্লায় চাপাতে হবে। প্রথমেই দেখা যাক নোটবন্দির সাফল্য। নোটবন্দি আখেরে তেমন সাফল্য পায়নি ঠিকই তবে, নোটবন্দির ফলে দেশে ডিজিটাল লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। নগদ অর্থবাদে মানুষ এটিএম ও পে-টিএমকে বেশি বেশি ব্যবহার করতে শিখেছে। ফলে বাজারে উত্তরোত্তর নোট ছাপানো থেকে কিছুটা অব্যাহতি পাওয়া গেছে। দেশের বৃহত্তর মানুষকে ব্যাঙ্কিং সিস্টেমের মধ্যে আনা গেছে। ট্যাক্স কিছুটা বেশি সংগৃহিত হয়েছে। ২ লক্ষ মতো অসংগঠিত সংস্থাকে উচ্ছেদ করা গেছে। এই আর কি।
আমরা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি, তথাকথিত কলিকালের হরমোদীর নোটবন্দির সাফল্য অতি নগণ্য হলেও তা কিন্তু একেবারে বৃথা যায়নি। এখন প্রশ্ন হলো, এই নোটবাতিলের সিদ্ধান্ত ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য, সামাজিক ও রাজনৈতিক শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে কতটা ফলপ্রসূ হল সেটি দেখে নেওয়া একান্ত জরুরি।
প্রথমত, নোটবন্দির পর বিশেষত প্রথম তিন মাস দেশের যা শোচনীয় পরিস্থিতি দাঁড়িয়েছিল তা ঐতিহাসিক। অতীতের কোনো মহামারী, কিংবা দুর্ভিক্ষ এই ধরনের পরিস্থিতি খাড়া করেছিল কিনা সন্দেহ। দেশের অধিকাংশ সাধারণ মানুষ নিজস্ব ঘর বাড়ি, ব্যবসা-বানিজ্য, অফিস আদালত সবকিছু ছেড়ে রাস্তায় নেমে এলেন। এতদিনের পরিশ্রমের টাকা পাছে যদি অবৈধ হয়ে যায় এই শঙ্কায় কেউ আর একচুল দেরি না করে সোজা চলে এলেন ব্যাঙ্কের সামনে। কত ধাক্কা-ধাক্কি, কত যে গুতানি নিরবে সইতে হলো নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে। নিজের টাকা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে গিয়ে কত যে অত্যাচার সইতে হলো তার ইয়াত্তা নেই। এত কাণ্ডের পরেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতি তো দূরের কথা, বরং তা আরো একধাপ পিছিয়ে দেওয়া হল। একটি উন্নয়নশীল দেশকে কোনঠাসা করা হলো। শিল্প ধাক্কা খেয়েছে। উৎপাদন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ছোট ও মাঝারি ব্যবসায়ীরা মুখ থুবড়ে পড়লো। ফলত বাইরের দেশ থেকে এ দেশে আমদানি আরও বেড়ে গেছে। রপ্তানির হার ক্রমশ হারে হ্রাস পেয়েছে। বহু অসংগঠিত কোম্পানি বন্ধ হয়ে গেছে। বিনিময়ে দেশের কোটি কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অনাহারে মৃত্যুর হার বাড়ছে। দৈনন্দিন জীবনে চরম ভোগান্তি নেমে এসেছে।
দ্বিতীয়ত, অধরা কালো টাকা। অধরা জাল টাকা। আরবিআই এর রিপোর্ট অনুসারে দেশের ৯৯ শতাংশ বড় নোট তথা পুরাতন ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট জমা পড়েছে। অথচ কালো টাকার কোনো হদিশ পাওয়া যায়নি। যদি তর্কের খাতিরে ১ শতাংশ অর্থাৎ ৮৯০০ কোটি টাকা যদি উদ্ধার না হয়ে থাকে তবে এটিও হিসাব রাখুন যে, নতুন টাকা ছাপতে খরচ হয়েছে প্রায় ৭৯৬৫ কোটি টাকা। তাহলে নিট ফল কী দাঁড়ালো! নিশ্চয় বিগ জিরো!
তৃতীয়ত: নোটের জন্য প্রায় দুইশোর কাছাকাছি মানুষের মৃত্য হয়, কেউ ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়িয়ে, কেউ বিয়ে ভেঙে যাওয়ার ফলে, কেউ কাজ হারানোর ফলে, কেউ দেনার দায়ে। এই মৃত্যুর দায় কে নেবে? এছাড়া নোটবন্দির সময় আম আদমির উদ্দেশ্যে মোদী বলেছিলেন, কালোধন কিংবা জাল টাকা আটকানোর মধ্য দিয়ে দেশের সন্ত্রাস কমানো সম্ভব হবে। কিন্তু বাস্তব কি বলছে দেখুন, দেশের জম্মু-কাশ্মীর সীমান্তে ৩৮ শতাংশ সন্ত্রাস বৃদ্ধি পেয়েছে এবং নিরাপত্তারক্ষীদের উপর ২ শতাংশ।
এ তো গেল নোটবন্দির বাইরের কথা। কিন্ত এর ফলে দেশের রাজকোষের ভেতরটা এতটাই পুড়ে গেছে যে, নতুন নতুন ফোড়া বের হচ্ছে। কখনো গ্যাসের দামবৃদ্ধি, কখনো পেট্রোলের দামবৃদ্ধি, জিনিসপত্রের দামবৃদ্ধি, যাত্রাভাড়াবৃদ্ধি লেগেই আছে। শোনা যাচ্ছে, নোটবন্দি নামক মহামারী দূর করতে নাকি জিএসটির অবতারণা করা হয়েছে। আর ধর্মীয় উস্কানিটাও বাদ নেই কিন্তু। বলাবাহুল্য যে, মোদী গৃহিত নোটবন্দি একটি বড় পদক্ষেপ ছিল ঠিকই, তার পরিপূর্ণরূপ না পাওয়া হেতু তার অযোগ্যতা প্রমান করে। সঠিক ও যথোপযোগী ব্যবস্থা গ্রহন না করা কিংবা সময়ের সাথে চলতে না পারাটাও একধরনের ব্যর্থতা।
এখন আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন আজকের এই কালাদিবস সত্যিকার যুক্তিযুক্ত কিনা। আপনি বিচার করবেন, মোদীর নোটবন্দি ভ্রান্তিবিলাস নাকি যুগোপযোগী! জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সরকারের গৃহিত এই নীতি ঠিক কতটা জনমুখী তা বিচার করে সিদ্ধান্ত নিন। যদি ভাবেন যে, মোদীজীর সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল তবে তার স্বপক্ষে যুক্তি তুলে ধরুন। কিংবা যদি নোটবন্দিকে অপ্রত্যাশিত ও অনৈতিক বলে মনে করেন, তাহলে আর বসে না থেকে বেরিয়ে পড়ুন। সামিল হন কালাদিবসের পদযাত্রায়। তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদে পদে এগিয়ে যান। কৈফিয়তের সুরে প্রশ্ন করে যান, কিং মোদীর কাছে, নোটবন্দি কি সত্যি সত্যি দেশের স্বার্থে গ্রহণ করা হয়েছিল নাকি, গত বছর ৮ নভেম্বরের দিবাস্বপ্ন!
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584