শ্যামল রায়,নদীয়াঃ
একদিনে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাঁচলক্ষ বাংলা আবাস যোজনায় ঘর প্রাপকের হাতে শংসাপত্র তুলে দিলেও নবদ্বীপ পঞ্চায়েত সমিতির সিপি এম পরিচালিত মায়াপুর বামুনপুকুর পঞ্চায়েতে একটাও ঘর পায়নি নাগরিকরা।মঙ্গলবার পঞ্চায়েতের প্রধান বান্টি বিবি এই রকমটাই অভিযোগ করলেন।তিনি জানালেন যে,সরকারের স্বজনপোষণ নীতির ফলে আমাদের পঞ্চায়েত অনেকটাই বঞ্চিত। তবুও আমরা স্থানীয় বাসিন্দাদের পঞ্চায়েতমুখী করতে পেরেছি এবং পঞ্চায়েতের পরিষেবা বলতে যা বোঝায় সীমিত ক্ষমতার মধ্যে মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জয় নিশ্চিত আমাদের প্রার্থীদের।তিনি উন্নয়নের বৃষ্টি দিয়ে জানিয়েছেন যে পঞ্চায়েত এলাকায় নোংরা আবর্জনা ফেলার জন্য তিনটি গাড়ি রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠানে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য দুটি ট্যাংক রয়েছে।
পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ৯ টি। মোট টিউবয়েলের সংখ্যা রয়েছে ৬টি। রয়েছে মিনি সাবমারসিবল চারটি।
তবে পর্যাপ্ত পানীয় এলাকায় রয়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৫টি।উচ্চমাধ্যমিকের সংখ্যা রয়েছে দুটি রয়েছে দুইটি বালিকা বিদ্যালয় ও অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের সংখ্যা ১৭টি। তবে জমির অভাবের কারণে একটি অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের নিজস্ব বিল্ডিং তৈরি হয়নি। তাই বিভিন্ন বিদ্যালয়ের এর ঘরে বা কোন ক্লাব ঘরে বা কোন বাড়ির বারান্দায় এখনো পর্যন্ত অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র গুলো চলছে।
বিভিন্ন ধরনের সামাজিক ভাতা একটিও বাড়েনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য আয়ুব নবী শেখ। তিনি জানিয়েছেন যে সংখ্যালঘু বিধবা ভাতা বার্ধক্য ভাতা প্রতিবন্ধী ভাতা মৎস্যজীবী পাটা একটাও বাড়ায়নি নতুন সরকার। এছাড়াও বাংলা আবাস যোজনায় একটিও ঘর দেয়া হয়নি আমাদের পঞ্চায়েতকে।
একশো দিনের কাজে গঙ্গার বাঁধ বাঁধানো হয়েছে। পাঁচ বছরে আট কোটি টাকার মতো খরচ করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন। এলাকায় ঢালাই রাস্তার কাজ হয়েছে ৮৫ শতাংশ। ১৫% রয়েছে গ্রামে কাঁচা রাস্তা।
আরও জানা গিয়েছে যে পঞ্চায়েতে আসন সংখ্যা ১৬টি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি মার্কসবাদী আসন পেয়েছিল ৯ টি বাকি তৃণমূল কংগ্রেস পেয়েছিল ৬টি আসন। একটি আসন পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি।
এবারের নির্বাচনের প্রাক্কালে ত্রিমুখী লড়াই হবে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতে।
এই পঞ্চায়েতে ফের ক্ষমতা দখল করবে সিপিআইএম। জোর দিয়ে জানিয়ে দিলেন সিপিএমের নেতৃত্ব বর্গ। পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী বিরোধী সিপিএমের দলনেতা আয়ুব নবী সেক জানালেন যে আমরা সারা বছর পঞ্চায়েতের পরিষেবা বলতে যা বুঝায় আমরা মানুষ কে দিয়ে থাকি। পাশাপাশি সমস্ত রকম সুবিধা অসুবিধার পাশে দাড়িয়ে কাজ করে থাকি। এলাকার মানুষকে পঞ্চায়েত মুখি করতে পেরেছি। পরিষেবা নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে কোনরকম ক্ষোভ নেই। শাসক দলের ব্যাপক দুর্নীতি এলাকার মানুষ জানে বোঝে তাই এবারও এই পঞ্চায়েতেটি সিপিএম পাবে এমনটাই আশা করেছেন নেতৃত্ব।
অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস নেতা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রার্থী সুনীল বিশ্বাস জানিয়ে দিয়েছেন যে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত এবার দখল নেবে তৃণমূল।
তাই প্রচার চলছে জোরকদমে। ত্রিমুখী লড়াইয়ে কোন দল ক্ষমতাসীন হবে প্রশ্ন উঠেছে ভোটারদের মধ্যেও। কেউ কাউকে জমি ছাড়তে নারাজ তাই প্রচার জমে উঠেছে শাসকদলের তরফ থেকেও এবং সিপিএম ও বিজেপির তরফ থেকেও। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। যদিও তৃণমূল নেতারা দাবি করেছেন যে সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েতে কোন উন্নয়নমুখী কাজই হয়নি তাই ভোটাররা এবার এই পঞ্চায়েতি আমাদের হাতে তুলে দেবে।
ফিচার ছবি সংগৃহীত
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584