নিজস্ব সংবাদদাতা, কল্যাণী,নদীয়া:
গতকাল বুধবার কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের কাছে আরবি ও সাওতালী বিষয়কে স্নাতকোত্তর খোলার জন্য এক ডেপুটেশন দেওয়া হয়। বিভিন্ন কলেজে আরবি চালু থাকলেও স্নাতকোত্তর স্তরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়টি নেই। একারণে অনেক ছাত্র-ছাত্রী নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চ শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাদের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতককোত্তর করতে গিয়ে অত্যন্ত প্রতিযোগিতার সম্মুখিন হতে হচ্ছে। এই সমস্যার কথা জানিয়ে ডেমোক্রেটিক স্টুডেন্ট কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে এর আগেও বেশকয়েকবার বিশ্ববিদ্যালয়কে জানানো হয়। কিন্তু কোনও লাভ হয়নি। ভারতীয় কন্সটিটিউশনে শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষাগত কোনও বৈষম্য করা যাবে না এবং এক্ষেত্রে সংখ্যালঘু ও পিছিয়ে পড়াদের পছন্দের বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। ওই অরাজনৈতিক সামাজিক সংখ্যালঘু ছাত্রসংগঠনের রাজ্য সম্পাদক আরিয়ান সুলতান বলেন, “এতে কেবলমাত্র একটি বা দুটি সম্প্রদায়ের কিছু ছাত্র-ছাত্রীরাই উচ্চশিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন না, আর্থসামাজিক ভাষা শিক্ষা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন। আমাদের এই দাবি সংবিধান সমর্থিত দাবী। দীর্ঘদিন ধরে আমরা ঘুরছি। এরপরেও না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।”
এই পরিপ্রেক্ষিতে উপাচার্য শংকর কুমার ঘোষ জানান, “আজ ২৯ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যকরী সমিতিতে বিষয়টি তোলা হবে এবং আশা করছি ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকেই আরবি ভাষা নিয়ে পাঠরত ছাত্র-ছাত্রীরা ভর্তি হতে পারবে এবং সাওতালী বিষয়টি পরবর্তী কার্যকরী সমিতিতে তোলা হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584