মনিরুল হক, কোচবিহারঃ
করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত বাবার মুখাগ্নি করলনা ছেলে। এমন অমানবিক ঘটনা ঘটেছে কোচবিহার শহরের এক পরিবারে। শেষ পর্যন্ত সেই মুখাগ্নি করেন কোচবিহার জেলা ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিৎ মুখোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, বুধবার করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান কোচবিহার ভাবনিগঞ্জ বাজারের এক ৫৫ বছরের ব্যবসায়ী। ওই ব্যবসায়ীর দেহ সৎকারের জন্য সরাসরি কোচবিহার মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হয়।
আরও পড়ুনঃ ফালাকাটায় নির্মীয়মাণ স্টেডিয়াম পরিদর্শন
নিয়ে যাওয়ার সময় খবর দেওয়া হয় পরিবারের লোকজনকে। তারা শ্মশানে আসলেও মৃতদেহের কাছে কেউ যাননি। ছেলেকে মুখাগ্নি করতে বলা হলে তিনিও রাজি হননি। শেষ পর্যন্ত ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট নিজেই সেই দায়িত্ব পালন করেন।
কোচবিহারে প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গতকাল সমস্ত রেকর্ড ভেঙে একদিনে ১৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখনও পর্যন্ত সরকারি ঘোষণায় ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সংখ্যা গুলো যে আগামী দিনে আরও বাড়বে, তা বলার অপেক্ষা রাখেনা! কিন্তু এত প্রচার সত্ত্বেও বেশির ভাগ মানুষ সচেতনতার থেকে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন বেশি।
আরও পড়ুনঃ প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের স্মৃতিচারনা বাঁধগড়া কংগ্রেস কার্যালয়ে
আর সেই কারণেই শুরুর দিকে যেমন কোয়ারেন্টাইন করতে বাধা দেওয়া হচ্ছিল। ঠিক একই ভাবে এখনও শ্মশানে দাহ করতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। কোন পরিবারের কেউ করোনা আক্রান্ত হলে তাকে সামাজিক ভাবে বয়কট করা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসনের সরকারি এক আধিকারিকের কথায়, “এভাবে মানুষ অসচেতন থাকার জন্যই চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী, পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিক থেকে কর্মীরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে গিয়েও বিভিন্ন ভাবে বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। নিজেকে সচেতন করার পাশাপাশি অযথা আতঙ্ক থেকে দূরে থাকতেই হবে। মানুষ যত দ্রুত তা করতে সক্ষম হবে। করোনার বিরুদ্ধে লড়াই ততটাই সফল হবে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584