মৃন্ময়ী দুর্গাকে সাজিয়ে সংসার যাপন জীবন্ত দুর্গাদের

0
228

নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুরঃ

মৃন্ময়ী দুর্গাকে সাজ নিয়ে ব্যস্ত জীবন্ত দুর্গারা। নিজস্ব চিত্র

মৃন্ময়ী দুর্গা ডিজাইন শিল্পের মাধ্যমে সারাবছর আয় তুলে দেয় বালুরঘাটের জীবন্ত দুর্গাদের হাতে। বছরভর অপেক্ষার পর আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গোৎসব।আর এই দুর্গোৎসব উপলক্ষ্যে প্যান্ডেলের সাজ সহ মৃন্ময়ী প্রতিমাকে সজ্জিত করার আনুষাঙ্গিক সাজ তৈরী করে সারা বছরের হাত খরচ, সংসার খরচ এমনকি ছেলে মেয়েদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে সমর্থ হচ্ছে বালুরঘাটের সম্পা দত্ত,মৌমিতা সূত্রধরের মতো জীবন্ত দুর্গারা। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট শহরের ব্রিজ কালী এলাকার ডেকোরেটার্স ভাই-এর ডিজাইনের তৈরীর কারখানাতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। সারাবছর ধরে এই ডেকোরেটার্স ব্যবসায়ীর ডিজাইন তৈরীর কারখানাতে কাজ চললেও দুর্গাপূজার এক দুই মাস প্রাক্কালে এই ব্যাস্ততা যেন অনেকটাই বেড়ে যায় বলে জানিয়েছেন প্যান্ডেলের ডিজাইন তৈরীর কাজে নিযুক্ত থাকা মহিলা কর্মীরা।

নিজস্ব চিত্র

তাই বছরের অন্যান্য সময় এই কারখানায় ৩০-৪০ জন মহিলা প্যান্ডেলের ডিজাইন তৈরীর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকলেও দুর্গাপূজার প্রাক্কালে সেই সংখ্যা ১৫০ ছাড়িয়ে যায়।সেলাই এর কাজ,জড়ির কাজ, নিত্যনতুন মস্তিস্কপ্রসূত ডিজাইনের রংবাহারিতা প্রস্তুতকরণের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন এই হস্তশিল্পের সঙ্গে যুক্ত মহিলাদের শিল্পকলাগুন বৃদ্ধি হচ্ছে দিন উত্তর তেমনি আবার শারদোৎসবকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়িক ভিত্তিতে গড়ে উঠা এই ডিজাইন তথা হস্তশিল্প মহিলাদের বিকল্প স্বনির্ভরতার পথও দেখাচ্ছে।ডেকোরেটার্স ভাই-এর এই হস্তশিল্পের কারখানাতে ৮ বছর ধরে ডিজাইনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা শম্পা দত্ত এদিন জানিয়েছেন হাতের কাজ শেখার পাশাপাশি এই কাজ করে তার আয়ও হচ্ছে।শম্পা দত্ত বলেন দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিজাইনের কাজ করে যা আয় হয় তা দিয়ে হাতখরচ এবং ছেলে মেয়েদের সংসার খরচ চলে যায়।শম্পা দত্তর মতো পুরানো ডিজাইন শিল্পীর পাশাপাশি দুই বছর ধরে এই ডিজাইন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা নবীন শিল্পী মৌমিতা সূত্রধর জানান দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ডিজাইনের কাজ করা ছাড়াও তিনি বছরের অন্যান্য সময় এখানে বিয়েবাড়ির ডিজাইন তৈরীর কাজও করেন। এবং এই কাজ করে প্রতিমাসে তার তিন থেকে চার হাজার টাকা আয় হয়।ব্যবসায়িক সংস্থাটির কর্ণধার রাজ নারায়ণ সাহা চৌধুরী বলেন দুর্গাপূজাকে উপলক্ষ্য ধরে সারাবছরই এই কারখানাতে কাজ চলে।পাশাপাশি রাজ নারায়ণ সাহা চৌধুরী এও জানিয়েছেন যে এখানে কাজ করে মহিলাদের প্রতিমাসে প্রায় চার থেকে পাচ হাজার টাকা আয় হয়।

আরও পড়ুন: বাগড়ির আতঙ্ক জুবলীতে

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here