ভারতীয় দূতাবাসে হানা দেওয়ার পরই নীরবতা ভেঙ্গে তালিবানদের কড়া বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

0
97

নিজস্ব প্রতিবেদন, নিউজ ফ্রন্টঃ

আফগানিস্তান দখল করার পর থেকেই কার্যত সেখানে নারকীয় তাণ্ডব শুরু করেছে তালিবানরা। মুখে যতই ভাবমূর্তি পরিবর্তন আর শান্তির কথা বলুক না কেন কাজের ক্ষেত্রে যে উল্টোআচরণ করছে তালিবানরা তার ছবি দেখছে সারা বিশ্ব। শান্তিকামী মুখোশের আড়ালে বেরিয়ে পড়ছে নির্মম মুখ। ২০ বছর পরেও যে কোনভাবেই সন্ত্রাস আর হিংস্রতা থেকে তারা বেরোতে পারেনি তার ভুরি ভুরি উদাহরণ দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানের বুকে।

PM Narendra Modi
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সৌজন্যেঃ এনডিটিভি

কাবুল দখলের পর থেকেই একাধিক আফগানিস্তানের মানুষ দেখে চলেছেন তালিবানদের নারকীয় উল্লাস। মানুষকে মারতে শুরু করেছে তারা। এমনকি আজ ভারতীয় দূতাবাসে ঢুকেও তাণ্ডব চালায় তালিবানরা। এরপরই তালিবান ইস্যুতে নীরবতা ভেঙ্গে কড়া বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

এদিন একটি টুইটে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘হিংস্রতা দিয়ে স্থাপিত শাসন কখনও দীর্ঘস্থায়ী হয় না। সন্ত্রাস আর আতঙ্ক দিয়ে যার শুরু হয়, তার স্থায়িত্বও অনেক কম।’ আফগানিস্তানে তালিবান শাসন প্রসঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেই দিল্লি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছে শুক্রবার।

আরও পড়ুনঃ ‘আফগানিস্তানে চলে যান’, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মন্তব্য মধ্যপ্রদেশের বিজেপি নেতার

এদিকে আফগানিস্তানে ঘরে ঘের ঢুকছে তালিবান সদস্যরা খোঁজ করছে কোন কোন বাড়িতে আফগান সেনার সদস্যরা আছে। কোন বাড়িতে ন্যাটো বাহিনী কিম্বা রাষ্ট্রসংঘের দূতরা লুকিয়ে রয়েছেন কিনা সেসব খুঁটিয়ে দেখছে তালিবানি সেনা। কার্যত নারকীয় সন্ত্রাসের ছবি গোটা আফগানিস্তান জুড়ে। ২০ বছর আগের স্মৃতি ফিরে এসেছে মানুষের মনে।

আরও পড়ুনঃ রক্তক্ষয় এড়াতেই দেশ ছেড়েছেন ভিডিও বার্তা প্রেসিডেন্ট গনির, অভিযোগ অস্বীকার আর্থিক তছরুপেরও

এদিন সরাসরি চিনের সঙ্গে হাত মেলানোর বার্তা দিয়ে দিয়েছে তালিবানরা। তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের উন্নতিতে চিনকে তারা আহ্বান করতে চায়। কারণ চিনের অর্থনীতি খুবই ভালো ও বৃহৎ। তাতে আফগানিস্তানেরও উন্নতি হবে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here