ডায়রিয়ার প্রকোপ গুসকরায়

0
35

সুদীপ পাল, বর্ধমানঃ

জল সংক্রমণে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হচ্ছেন গ্রামের বহু বাসিন্দা। লক্ষ্মী পুজোর দিন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় জনা তিরিশ গ্রামের বাসিন্দা।

Diarrhea | newsfront.co
ছবিঃ প্রতীকী

গুসকরা ২ পঞ্চায়েতের শিবদা গ্রামের এই পরিবারগুলির অভিযোগ, ডায়রিয়ার প্রকোপ দেখে সরকারি নলকূপের চাতাল বানানোর কাজ শুরু হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের সামনে গ্রামবাসীদের প্রশ্ন, এতদিন কেন কাজ হয়নি? নির্মল তকমা পাওয়ার পরেও পঞ্চায়েতের অধিকাংশ বাড়িতে শৌচাগার নেই কেন? সেই প্রশ্নও তুলছেন অনেকেই।
গ্রামের পরিস্থিতি ঘুরে দেখেন বিডিও চিত্তজিৎ বসু ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মন্ডল। গ্রামবাসীদের বক্তব্য গ্রামে ৮০টি পরিবারের জন্য দুটি সরকারি নলকূপ রয়েছে। দুটিই পুকুরের পাড়ে। চাতাল বানানো নেই। ফলে পুকুরের দূষিত জল পানীয় জলের সাথে মেশে নিয়মিত।

একাধিকবার প্রশাসনের কাছে আবেদন করেও কোনো লাভ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ। যদিও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ২৪ ঘণ্টার কন্ট্রোলরুম খুলে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন বিডিও। এছাড়াও পানীয় জলের ট্যাঙ্ক, জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর এর তরফের তিন হাজার পানীয় জলের পাউচ বিলি করা হয়েছে। বিডিও বলেন, এই এলাকায় ডায়রিয়া ছড়িয়ে পড়েছিল। সারাক্ষণ পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে।

স্থানীয় একটি পুকুরের জল থেকে ডায়রিয়া ছড়িয়েছে বলে প্রশাসনের দাবি। কেনো শৌচাগার হয়নি এ প্রশ্নের উত্তরে রবু বাগদি প্রমুখ গ্রামবাসীরা বলছেন, অনেকের বাড়িতেই শৌচাগার নেই। অনেকেই পঞ্চায়েতে শৌচাগার করার জন্য টাকা জমা দিয়েছিল কিন্তু কয়েকজনকে সেই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।

আরও পড়ুনঃ জিয়াগঞ্জের ভয়াবহ হত্যাকান্ডের কিনারা, ধৃত ১

গুসকরা ২ পঞ্চায়েত প্রধান সুবীর মন্ডল যদিও দাবি করেন নলকূপের চাতাল বাঁধানো ও ‘সোক-পিট’ তৈরির কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। যেসব পরিবারে শৌচাগার নেই জায়গার অভাবে করা যায়নি বলেই তাঁর দাবি। বিডিও চিত্তজিৎ বসু একটি কমিউনিটি শৌচাগার তৈরির আশ্বাস দিয়েছেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here