পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
আহত তৃণমূল কংগ্রেস ব্লক খোইরাশোলের সভাপতি দীপক ঘোষ সোমবার বিকেলে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মারা যান।রোববার বিকাল ৪ টেতে তিনি দলের এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘরে ফিরে আসার সময় নিষ্ঠুরভাবে আহত হন।স্থানীয় সূত্র জানায়,রোববার বিকেলে দীপক ঘোষ খাইরাশোল থেকে তাঁর নিজের গ্রাম, কেন্দ্রগ্রস্থিয়া ফিরে আসছিলেন।তিনি তাঁর দলের একজন কর্মী ভোলা ঘোষের সাথে মোটরসাইকেল ছিলেন।অজয় নদীর উপর একটি অস্থায়ী সেতু পার হওয়ার সময় তিনজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ইটভাটার সামনে তাদের উপর হামলা চালায়।তারাও একটি মোটর সাইকেল ছিল।তারা দীপক ঘোষকে তিন রাউন্ডে গুলি চালায়,এর পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে চলে অস্ত্রের আঘাত।তাঁর দলীয় লোক ভোলা ঘোষ সাহায্যের জন্য চিৎকার করে দৌড়ে ইটের পাশে এসে পৌঁছানোর আগে দুস্কৃতিরা পালিয়ে যায়।আহত দীপক ঘোষকে স্থানীয় নাগরাকান্দা স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল,সেখান থেকে তাকে দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালে পাঠানো হয়। কিন্তু সোমবার বেলা ১টা নাগাদ তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, “বিজেপি তাকে হত্যা করেছে। দীপক একজন খুব ভাল নেতা ছিলেন,বিজেপি তার জন্য কষ্টের সম্মুখীন হয়েছিলেন।আমরা হত্যাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি ,আমি বিশ্বাস করি যে হত্যাকারীদের গ্রেফতারের পর,বিজেপির আসল মুখ বের হয়ে আসবে।” বীরভূম জেলার তৃনমূলের সভাপতি অনুব্রত মন্ডল আরো বলেন, “দল দীপক ঘোষের খুনের হিসাব নেবে,সময় হলেই, পুলিশ কি করবে সেটা পুলিশের ব্যাপার,আমরা বুঝে নেব বিজেপির কাছে।”
বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় অভিযোগ অস্বীকার করেছেন,তিনি বলেন, “সবাই জানেন যে তৃণমূল কংগ্রেস পার্টির অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষ যার জন্য দীপক ঘোষকে হত্যা করেছে।আমরা এই রক্তপাতের রাজনীতিতে জড়িত নই।”
এদিকে স্থানীয় লোকজন দীপক ঘোষের হত্যার পেছনে দলের অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষে ইঙ্গিত দিয়েছে। সূত্র জানায়, দীপক ঘোষ ও উজ্জ্বল হক কাদেরির মধ্যে অভ্যন্তরীণ সংঘর্ষের বিষয়টি সবাই পরিচিত।যার জন্য বীরভূম জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মন্ডলকে খাইরাশোল ব্লকের উভয়কেই একই গুরুত্ব দিতে হয়েছিল, তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বন্ধ না।যার জন্য একে অপরের উপর অশোধিত বোমা,পার্টি অফিস ধ্বংস একটি নিয়মিত ঘটনা হয়ে গেছে।
দীপক ঘোষের ওপর হামলা আগেও করা হয়েছিল।প্রকৃতপক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ পার্টির সংঘর্ষ খয়ারসোল এলাকায় নতুন নয়।২০১২ সালে তিন শিবিরের তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা খুন হন। ২০১৪ সালে, দীপক ঘোষের বড় ভাই আশোক ঘোষ, তখন সেই ব্লকের সভাপতি ছিলেন যখন তিনি তার মায়ের সাথে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। এক বছরের মধ্যে আশোক ঘোষের প্রতিদ্বন্দ্বী অশোক মুখার্জীকে গ্রামের বাজারে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুনঃ লোকশিল্পী আনন্দ বিশ্বাসের অকাল প্রয়ান
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584