নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
ভাইফোঁটা উপলক্ষে এক ব্যতিক্রমী মিলন মেলার সাক্ষী রইল ঝাড়গ্রাম। এতদিন বন্ধুদের কাছ থেকে শোনা ভাইফোঁটার সব গল্পের মাহাত্ম্য এত দিনে বোঝা গেল। পুরাতন ঝাড়গ্রাম সর্বজনীন শ্যামাপুজো ও দীপাবলি উত্সব কমিটির উদ্যোগে ভাইফোঁটা চলে আসছে ৪০ বছর ধরে। ধর্ম-সম্প্রদায় নির্বিশেষে কিশোরী-তরুণীরা একের পর এক ভাই-দাদাদের কপালে ফোঁটা দিয়ে থাকেন পুজো কমিটির উদ্যোগে। কে কোন ধর্মের , তা খোঁজ নেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না তাঁরা।
ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে দু’হাজার লোকের বাস। ভোরের আজান শুনে ঘুম ভাঙে সুমিত-কাকলিদের। সন্ধ্যায় রাজবাড়ির সাবিত্রী মন্দিরের শঙ্খ আর গির্জার ঘণ্টাধ্বনি মিলেমিশে একাকার হয়। প্রত্যেকে নিজের ধর্মাচার করেন। প্রতিদিন গির্জায় যান নিয়ম করে। এ দিন তিনি ফোঁটা নিয়ে বললেন , “এই এলাকায় সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে বসবাস করেন। উত্সব আনন্দের দিনগুলিতে তাই সবাই একসঙ্গে সেই আনন্দ ভাগ করে নিই।”
আরও পড়ুনঃ জওয়ানদের মুখে হাসি ফোটাতে সীমান্তে ভাইফোঁটার আয়োজন
পুজো কমিটির মূল কাণ্ডারী কাউন্সিলর, তপন সিংহ বলেন, “এখানকার শ্যামাপুজো শুধুমাত্র পুজো নয়, সব ধর্মের মানুষকে একসূত্রে গেঁথে রাখাই এই পুজোর মূল উদ্দেশ্য। এলাকার বাসিন্দারা একে মিলন মেলায় পরিণত করেছেন।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584