নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
অবশেষে ফণী ঘূর্ণিঝড় আতঙ্ক কাটিয়ে মূলস্রোতে ফিরলো রাজ্যের অন্যতম সৈকত শহর দিঘা।গত বেশ কয়েকদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছিল দিঘা সহ আশপাশের এলাকার মানুষজন কিন্তু শনিবার সকাল থেকে রোদ ঝলমলে পরিষ্কার আকাশ বিরাজ করায় মুখে হাসি ফুটেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।গত শুক্রবার সকাল থেকে রাজ্যের গাঙ্গেয় উপকূলীয় এলাকাগুলিতে শুরু হয় ঝড় বৃষ্টি।
যা শুক্রবার রাত্রে প্রবল আকার ধারণ করে।যারফলে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একাধিক জায়গায় বেশ কয়েকটি গাছ উপড়ে পড়ে এবং বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।ফণী’র প্রভাবে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ওড়িশা এবং সৈকত শহর দিঘায়।আবহাওয়া দপ্তর থেকে যার আন্দাজ পাওয়া মাত্রই ওড়িশা এবং দিঘা থেকে প্রায় পর্যটক শূন্য করে দেওয়া হয়ে ছিল।
আরও পড়ুনঃ ফণী তান্ডবে লন্ডভন্ড দিঘা
নিজস্ব চিত্রফলে ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন হোটেল মালিকরাও।এরপর শনিবার সকালে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা দেওয়ায় হাঁসি ফুটেছে হোটেল মালিকদেরও।রাজ্যে ফণী’র আতঙ্কে ওড়িশা ও দীঘা গামী বহু ট্রেনও বাতিল করা হয়েছিল যা শনিবারের পর থেকে ধিরে ধিরে চালু করা হয়।রাজ্যের এক প্রান্তে এই ফণী আতঙ্ক কাটলেও শনিবার সকালে রাজ্যের অপরপ্রান্তে দেখা যায় ফণীর তান্ডব।শনিবার সকালে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঘণ্টায় প্রায় ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে থাকে।
এরফলে বলা চলে ফণী আতঙ্ক এখনও তেমনিভাবে কাটেনি এরাজ্যের ওপর থেকে।ফণীর প্রভাবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় বলি হতে হয়েছে এক বৃদ্ধাকেও।শনিবার রাত্রে ঝড়ের প্রভাবে একের পর এক বাড়ির ছাদ উড়ে যায় দিঘা সহ তাজপুর, রামনগর, মন্দারমণি এলাকায়।
যার আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই এলাকারই বৃদ্ধা কমলিনী মন্ডল।এরপর তাকে স্থানীয়রা রাতে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।মৃত বৃদ্ধার স্বামী কার্তিক মণ্ডল বলেন,শুক্রবার রাতে ঝড় শুরু হলে একের পর এক বাড়ির চালা উড়ে যাওয়ার কথা শুনে বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়ে কমলিনী দেবী।ঝড় উপেক্ষা করে তাঁকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলেও শেষ রক্ষা করা যায়নি।তার মৃত্যু হয়।অপরদিকে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ ছিল হলদিয়া বন্দরে পণ্য ওঠা নামার কাজ।কিন্তু শনিবার সকালে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় ফের হলদিয়া বন্দরে শুরু হয় পণ্য নামা ওঠার কাজ।পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ জানান,শনিবার সকাল পর্যন্ত পাওয়া তথ্য অনুযায়ী রামনগর ১,২, কাঁথি ১,২ ও খেজুরি ১ সহ-নন্দকুমার এই ৬ ব্লকের ৬৭ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।এছাড়া জেলায় তেমন বেশি কোথাও ক্ষতি হয়নি।সবমিলিয়ে বলা চলে ফণী’র আতঙ্ক কাটিয়ে এখন মূলস্রোতে সমগ্ৰ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584