কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায় নাঃ দিলীপ ঘোষ

0
70

উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ

তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ সফরের পর বলেছিলেন, মিছিলে যা লোক হয়েছে তাতে বিরোধীদের ১০ গোল দিয়ে দিয়েছি।

Dilip Ghosh | newsfront.co

এর উত্তরে বুধবার ইকো পার্কে প্রাতঃভ্রমণ করার সময়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছেন, “কে কাকে গোল দেবে জানাই আছে। অভিজ্ঞতা কম। অনেকবারই অনেক কিছু বলেন। পরে দেখা যায় সেগুলো উল্টে গিয়েছে। আর একটু শিখতে হবে রাজনীতি। কোলে চড়ে রাজনীতি করা যায় না।“ এইভাবে নাম না করে ফের তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ।

সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির দাবি করেছিলেন মঙ্গলবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। সাংবাদিক বৈঠক ডেকে শোভনের বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ করেছিলেন তিনি। বুধবার সকালে ইকো পার্ক থেকে কুণাল ঘোষকে পাল্টা আক্রমণ করলেন দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ এদিন কুণাল ঘোষকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ”ওঁর হাতে প্রমাণ থাকলে সিবিআইকে দিক। পুলিশ ওঁকে গ্রেফতার করেছিল। তাই কষ্ট হচ্ছে হয়তো।”

দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, “কে কি বলেছে আমি জানি না। বাংলার মানুষ বিজেপিকেই ভোট দেবে। ২৮০টি আসনে বিজেপি জিতবে।“

আরও পড়ুনঃ পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের জেলা সভাপতি পদে শিশিরের পরিবর্তে সৌমেন

কৃষি আইনের বিরুদ্ধে পথে নামছে তৃণমূল প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষের দাবি, “তৃণমূল এতদিন নামেনি কেন! বাংলার কৃষকরা মোদীজির সঙ্গে আছেন, দিদির সঙ্গে নেই। মমতা ব্যানার্জি একটা ছোটো পদযাত্রা করেছিলেন। কলকাতায় লোক ওঁর সঙ্গে নেই। দালালরা আছেন। সেই জন্য ওঁর হিম্মত নেই নামার। আমি তো চ্যালেঞ্জ করছি, ১০ হাজার কৃষকের মিছিল করে দেখান কলকাতায়। আমরা ৫০ হাজার কৃষকের মিছিল করে দেখাব।“

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ট্যাংরায় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান চলাকালীন বিজেপির পাঁচ কর্মীকে বেধড়ক মারধর করলে জখম পাঁচ বিজেপি কর্মীদের এনআরএস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “সারা বাংলাতেই মার খাচ্ছে বিজেপি কর্মীরা। আর বেশিদিন মারার ক্ষমতা নেই ওদের। কিছু দুষ্কৃতীকে লাগিয়ে রেখেছে তৃণমূল।“

আরও পড়ুনঃ কেন্দ্রের হলফ নামায় কৃষক বিক্ষোভে খালিস্তানী জঙ্গি যোগের উল্লেখ

একদিন আগে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলছেন বিজেপির ৭ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগদান করার জন্য তৃণমূলে পা বাড়িয়ে রেখেছেন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওঁর কথা, কল্যাণ ব্যানার্জির কথা মানুষ আজকাল গুরুত্ব দেয় না। নিজের এমএলএ সিট বাঁচিয়ে নিলে অনেক হবে। এইসব বলে দিদিমণির মন রাখার চেষ্টা করছেন।“

পরে তিনি আরও বলেন, “আমরা চাইব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে আসুক। ফেব্রুয়ারি থেকে এলে ভাল হয়।“

অন্যদিকে সৌগত রায় বলছেন, বিবেকানন্দকে পুরো দখল করে নিয়েছে বিজেপি! এপ্রসঙ্গে মেদিনীপুরের এই সাংসদ বলেছেন, “ওঁরা তো পুরো বাংলা দখল করে বসে আছেন। বয়স হয়েছে তো ভুলেই যান। রবীন্দ্রনাথকে কীভাবে ইউজ করেছেন! বিশ্বভারতীকে ভেঙে দিচ্ছেন। আবার বুকে ফটো নিয়ে হাঁটছেন।“

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here