পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
তারাপীঠে পুজো দিয়ে গেলেন ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী দীনেশ ত্রিবেদী।পুজো দিতে এসে এদিন বেশ খোশ মেজাজেই ছিলেন দীনেশ বাবু।মন্দিরের পূজারী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন দীনেশ ত্রিবেদী।পূজারী ভুবন মুখোপাধ্যায় জানান, পূজা দেবার সময় দীনেশ ত্রিবেদী ভক্তিভরে মায়ের বন্দনা করেন।পুজোর সামগ্রীতে বড় জবা ফুলের মালা, বেশ কয়েক কেজি প্যাঁরা, মিষ্টি, সহ প্রয়োজনীয় সামগ্রী সবকিছুই তিনি রেখেছিলেন।
পুজোর শেষে তিনি মায়ের ভোগ প্রসাদ খেতে চান এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে মাটিতে বসে তৃপ্তি সহকারে ভোগ প্রসাদ খান।পুজোর শেষে তারা মাকে ভোগ দেওয়ার জন্য প্রনামি স্বরূপ ১০০০০ টাকা পূজারী হাতে তুলে দেন।এরপর তিনি মন্দির থেকে বেশ কিছুটা পথ হেঁটে আসেন।রাস্তা দিয়ে হেঁটে আসার সময় মন্দির সংলগ্ন বেশ কয়েক হাজার মানুষ দীনেশ ত্রিবেদীকে একবার দেখার জন্য ভিড় জমায়।নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ব্যারাকপুরের এই বর্ষীয়ান প্রার্থীর পা ছুঁয়ে আশীর্বাদ নেয়।
আরও পড়ুনঃ কোচবিহারে মন্দিরে পুজো দিলেন মুকুল রায়
মানুষের মধ্যে এই উৎসাহ দেখে দীনেশ ত্রিবেদী বলেন, ‘উন্নয়ন যে কথা বলে তা তারাপীঠে এসে আবার প্রমাণ পেয়ে গেলাম। কেন মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পেছনে এইভাবে জনশ্রুতি হিসেবে দাঁড়িয়ে থাকে, তারাপীঠের মানুষ তা আবার বুঝিয়ে দিল।আজ থেকে ৩০ বছর আগে যে তারাপীঠ ছিলো সে তারাপীঠে এখন আর চেনাই যায় না।এসব কিছুই মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কারিশমা।’
এদিন পথচলতি মানুষের কাছে হাতজোড় করে প্রণাম জানিয়ে মানুষকে আশীর্বাদ শ্রদ্ধা জানান তিনি।তবে ব্যারাকপুর কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং কে নিয়ে একটিও শব্দ দীনেশ ত্রিবেদী খরচা করেননি।শুধু এটুকুই বললেন উনি ওনার কাজ করেছেন মানুষ মানুষের কাজ করেছে।
রাজ্যে রাজনৈতিক তরজা নেহাত কম হয়নি এই ক’দিনে।বিশেষত দুই ফুল শিবিরে বারবার দ্বন্দ্ব যেমন সামনে এসেছে তেমনি দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলও দেখা গেছে।তবে ২৩ মে হয়তো অনেক সমীকরণই স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিশিষ্ট মহল।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584