সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ ২৪ পরগণাঃ
বুলবুল ঘূর্ণিঝড়ের দুঃস্বপ্ন আজও ভুলতে পারেনি সুন্দরবনবাসী। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে দক্ষিণ সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা।
যার মধ্যে বেশি ক্ষতির তালিকায় রয়েছে সাগরদ্বীপ, নামখানা, বকখালি, পাথরপ্রতিমা, গোসাবা, বাসন্তী। সুন্দরবনের বুলবুলের প্রভাব পড়লেও প্রভাব তেমন একটা দেখা যায়নি সুন্দরবন লাগোয়া মগরাহাট এক নম্বর ব্লকে।
বিভিন্ন অঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষতিপূরণের তালিকা নিয়ে শুরু হয়েছে তরজা। লড়াই শাসক-বিরোধী দুই পক্ষের। স্বজনপোষণ নিয়ে চলছে দক্ষিণ সুন্দরবনের মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের মগরাহাট এক নম্বর ব্লকে, দাবি বিজেপির।
এই ব্লকে রয়েছে প্রায় দুলক্ষ্য আশি হাজার মানুষের বাস। ৫১ শতাংশ এই ব্লকেই রয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ। ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের খেটে খাওয়া মানুষের জীবিকা চাষাবাদ। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব তেমন একটা দেখা না গেলেও ক্ষতিপূরণের সংখ্যাটা কিন্তু অনেকটাই ।
১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বুলবুল ঝড়ে মাস্টার রোল অনুযায়ী জেলাতে ব্লক থেকে ডিম্যান্ড করা হয় পাঁচ হাজার জনের ক্ষতিপূরন।
সেখানে কৃষি কাজে ক্ষতি দেওয়া হয়েছে ৩৬০০ জনকে। ডিম কিড দেওয়া হয়েছে ২৪৫৮ জনকে। ঘরের ফুল ড্যামেজ, হাফ ড্যামেজ তালিকা বানানো হয় ২০৬৯ জনের। যা নিয়ে সংশয় বেঁধেছে সাধারন মানুষ থেকে বিজেপি সর্মথকদের।
১১টির মধ্যে শিরাকল→২০৫জন, সিচন্দা ১৩৯জন, শেরপুর→২১৫জন, ইয়ারপুর→১৫৫জন, হরিহরপুর→২০১জন, উস্থি→২০৯জন, ২০২জন,২৬৯জন, উত্তর কুসুম→১১৯জন, কালিকা পোতা→১৩৭জন, লক্ষ্মীকান্তপুর→১৪৫ জনের নাম।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূল সভাপতি খুনে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ কান্দি মহকুমা আদালতের
কোথাও নাম রয়েছে তৃনমূল কংগ্রেসঅঞ্চল সভাপতি, কোথাও তূনমূল পঞ্চায়েত সদস্যর স্বামী কেষ্ট মন্ডলের নাম। যার দোতলা বাড়ি ক্ষতিপুরন হয়নি ঝড়ে অথচ নাম রয়েছে মাস্টার রোলে। সেখানে সই রয়েছে মগরাহাট এক নম্বর ব্লকের বিডিও বিশ্বজিৎ মন্ডল ও মগরাহাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মিনুফা বেগমের।
যদিও বিজেপির তরফে দাবি করা হচ্ছে একাধিক জায়গায় ক্ষতি হয়েছে বলে দলের সর্মথকদের বেছে বেছে নাম নথি করেছে তৃনমূল। নেপথ্যে রয়েছে দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য মুজিবর রহমান মোল্লা। বিজেপির আরো দাবি তৃনমূল নেতাদের বাবা, মা, ভাই বোন সবারির নাম দিয়ে পাঠানো হয়েছে।
তা প্রকাশ্য আসতে ডিম্যান্ড তালিকা বলে দাবি করছে। বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি মন্ডল সভাপতি থেকে জেনারেল সেক্রেটারি। ঘটনার পর একে অপরের নামে কাদা ছেটাতে শুরু করেছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহকারী সভাপতি, জেলা পরিষদ সদস্য থেকে বিডিও।
প্রধানদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনছেন। যদিও প্রধানেরা ক্যামেরার সামনে মুখ না খুল্লেও সমস্ত কিছু বিডিও ও সভাপতির স্বামী জেলাপরিষদের সদস্য মুজিবর রহমান মোল্লার নির্দেশ মেনে করা হয়েছে।
বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছে মগরাহাট এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি মানবেন্দু মন্ডল। বুলবুল ক্ষতিগ্রস্থদের যে ঘরের তালিকা বানিয়েছে তা নিয়ে ধন্ধে পরেছে স্থানীয়রা।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584