সিমা পুরকাইত, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনাঃ
নির্মিয়মান দলীয় কার্যালয় ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠল সাগরদ্বীপ বিধানসভার বিধায়ক বম্কিম হাজরার বিরুদ্ধে।
নামখানা ব্লকের সাতমাইল বাজারের ঘটনা।অভিযোগের তীর বিধায়ক বম্কিম হাজরার বিরুদ্ধে। তবে কেন ভাঙচুর ধন্দে সর্মথকেরা।
আরও পড়ুন: বাড়িতে হানা দিয়ে লক্ষাধিক টাকার গাঁজা উদ্ধার
অভিযোগ ২০০৮ সাল থেকে তৃনমূল শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় আসলেও দলীয় কার্যালয় ছিলনা এই এলাকায় । ফলে বিরোধী সিপিএম দাপিয়ে বেড়াচ্ছিল সাতমাইলে। অন্যদিকে বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি উঠে আসা নিয়েও সমস্যা চলছিল তৃনমূলের নিজেদের মধ্যে। তাই কিছু কর্মীর দাবি লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যালয় গড়ে বিরোধীদের দুরমুশ করার প্রতিজ্ঞা করে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব । কিন্তু কার্যালয় না থাকায় দলীয় বৈঠকে সমস্যা চলছিল। অবশেষে তৃনমূল কর্মী মনোরঞ্জন গিরি নিজের দোকানের জায়গা দেন কার্যালয় করার জন্য ।সেই মতো চিনাই নদীর পাশে গড়ে ওঠে দলিয় কার্যালয়টি। কার্যালয় গড়া নিয়ে সবাই ছিল একমত।
কিন্তু সমস্যা তৈরি করেছেন বিধায়ক বলে অভিযোগ। কিন্তু কেন এই সমস্যা তা নিয়ে আজও ধন্ধে তৃনমূল কর্মীরা। আজই বিধায়ক কোন নোটিশ না করে, সর্মথকদের না জানিয়ে নিজের হাতে ভেঙে ফেলেন নির্মিয়মান কার্যালয়টি বলে অভিযোগ। ছিঁড়ে ফেলা হয় মমতা বন্দোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ছবি সহ ফ্লেক্স। দলিয় পতাকা ওখুলে ফেলা হয়।শুরু হয় চাপান উতার
অঞ্চল সভাপতি বিরেন্দ্রনাথ গিরির বক্তব্য বিধায়ক বিরোধীদের অক্সিজেন দিচ্ছেন।আগামী লোকসভা নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করছেন তিনি।
বিজেপির দক্ষিন ২৪ পরগনা জেলার পশ্চিম ভাগের সহসভাপতি অরুন কুমার জানা এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশ বলে দাবি করেছেন।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584