তপন চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুরঃ
রবিবার কালিয়াগঞ্জ তথা উত্তরবঙ্গের জাগ্রত মা বয়রার কালীপূজা সম্পন্ন হল ভাল ভাবেই। পূজার পর সোমবার দুপুরে মায়ের প্রসাদ পাবার জন্য কালিয়াগঞ্জের গ্রামগঞ্জ থেকে হাজার হাজার মানুষ সকাল থেকে মন্দির প্রাঙ্গনে অপেক্ষা করেছিল। প্রতিবারই বেলা ১ টা থেকে চলে পাত পেড়ে প্রসাদ বিতরণ। একসাথে ৭-৮ টি লাইনে মায়ের মন্দির চত্বরে বসিয়ে পেটপুরে প্রসাদ দেওয়া হয়। প্রসাদ বিতরণের কাজ চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
এবারেও মায়ের প্রসাদ পেয়ে গ্রাম বাংলার ভক্তবৃন্দরা দারুন খুশি। অনন্তপুর গ্রামের গৃহবধূ সুধাবালা পেট ভরে প্রসাদ খেয়ে খুব খুশি। তিনি জানান, “আমরা মা বয়রা মায়ের একটু প্রসাদ পাবার জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি।” কালিয়াগঞ্জ মা বয়রা পূজা কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ বিকাশ ভদ্র জানান, তাঁরা অত্যন্ত সুষ্ঠুভাবে মাযের পূজা শেষে প্রসাদ দিয়ে থাকেন।
কোনও ব্যক্তি মায়ের প্রসাদ না নিয়ে যাবেন না বলে একাধিকবার মাইকে প্রচার করা হয়ে থাকে প্রসাদ নেওয়ার জন্য। সুষ্ঠুভাবে মায়ের পূজা সম্পন্ন হওয়ার জন্য কালিয়াগঞ্জবাসিদের সহযোগিতাও কম কিছু থাকে না। বিকাশ বাবু তাই কালিয়াগঞ্জ শহর ও গ্রামের মানুষদের প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
রবিবার কালিয়াগঞ্জ শহরে মা বয়রা কালীর মন্দির প্রাঙ্গনে হাজার হাজার মানুষ মানত করার জন্য এসেছিল। মায়ের কাছে মানত করার জন্য কয়েকশো পাঁঠা ও সোনাদানা নিবেদন করতে হয়। এর জন্য দর্শনার্থী ও ভক্তদের আলাদা করে ধন্যবাদ জানান পূজা কমিটির সম্পাদক বিকাশ ভদ্র।
আরও পড়ুনঃ ভাইফোঁটার বন্ধন অটুট করতে ঝাড়গ্রামে রকমারি মিষ্টি
এ দিন মায়ের পূজায় উপস্থিত ছিলেন কালিয়াগঞ্জ পৌরসভার পৌরপিতা কার্তিক চন্দ্র পাল, কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি তথা মা বয়রা কালীপূজা কমিটির সভাপতি আশিষ দলুই, কালিয়াগঞ্জ ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক সুনীল সাহা-সহ অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। সুদূর আমেরিকার নিউ জার্সি থেকে মায়ের পূজায় অংশগ্রহণ করবার জন্য এসেছিলেন প্রদীপ কুমার রায়। তিনি বলেন, মা বয়রা কালীপূজার আলাদা আনন্দ পাই বলেই মনের টানে চলে আসি। এবারেও ভীষণ আনন্দ উপভোগ করলাম, পেলাম মনের শান্তি।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584