নিজস্ব সংবাদদাতা, মুর্শিদাবাদঃ
মুর্শিদাবাদে জেলা পরিষদের কলেজ এমসিইটি দখল করার চক্রান্তে এবার মুখ খুললেন জেলা সভাধিপতি।
১৯৯৭ সালে ৮ই আগস্ট কারিগরি শিল্পে এমসিইটি কলেজ জেলা পরিষদের সহযোগিতায় ও বিশিষ্ঠ কিছু মানুষের দাড়া এই কলেজ স্থাপিত হয় এবং সেই সময় এই কলেজের মূল কান্ডারী ছিলেন সিপিএম নেতা নৃপেন চৌধুরী।
কিন্তু সভাধিপতি থাকাকালীন নৃপেন চৌধুরী সরকারি সম্পত্তি টাকে ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে লিপিবদ্ধ করতে থাকেন। সেই সময় আশিটি আবাসন জেলা পরিষদের তত্ত্বাবধানে দিয়েছিলেন এবং সেই সময় ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপিত হওয়ায় মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদ জেলার ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনঃ ফাঁসিদেওয়ায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ১
কিন্তু আটানব্বই সালের পর থেকে এই এমসিইটি কলেজ নিয়ে কোন জেলা পরিষদের সভাধিপতি কর্ণপাত করেননি। ২০১৮ সালে সভাধিপতি হন মোশারফ হোসেন মন্ডল। তারপর থেকেই বিদেশ থেকে এবং দেশের কিছু ছাত্র ছাত্রী বর্তমান সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডলকে অনুরোধ করেন এই এমসিইটি কলেজ জেলা পরিষদের, পারলে এটিকে রক্ষা করুন।
আরও পড়ুনঃ ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে
এই কলেজের সভাপতি হিসাবে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, জেলাশাসক থেকে শুরু করে প্রশাসনিক ভাবে আলোচনার মাধ্যমে সমির বাবু কে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীপক রায়, বদরুদ্দীন সাহেব বেআইনিভাবে কলেজটি দখল করতে চাইছে বলেই জানাচ্ছেন বর্তমান মুর্শিদাবাদের জেলা সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মন্ডল।
নিউজ ফ্রন্টের পক্ষ থেকে নৃপেন বাবুকে এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে অবগত নন বলে জানান। তবে এই এড়িয়ে যাওয়ার পিছনে কী আড়াল করছেন তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে উঠছে প্রশ্ন! সিপিএম এর অপর এক নেতা সচ্চিদানন্দ জানান, “কোন দুর্নীতির সাথে যুক্ত থাকার মানুষ নৃপেন বাবু নন”, তবে বিষয়টি সম্পর্কে তারও কিছু জানা নেই বলেই তিনি জানান।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584