পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসকের কনফারেন্স হলে শিশু সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা সভা

0
27

নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ

মঙ্গলবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে শিশু সুরক্ষা নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিশু সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি অনন্যা চক্রবর্তী , জেলার পুলিশ ও প্রশাসনের অনেক আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন।

meeting | newsfront.co
বৈঠক। নিজস্ব চিত্র

এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবব্রত দাস, পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পার্থ ঘোষ, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের স্পেশাল কনসালটেন্ট সুদেষ্ণা রায়, সদস্য শেখর ভট্টাচার্য, ডিস্ট্রিক্ট লিগাল সার্ভিস অথরিটির সেক্রেটারি সুমন কুমার ঘোষ, অতিরিক্ত জেলা শাসক (সাধারণ) সুদীপ সরকার, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের শিশু ও নারী উন্নয়ন, জনকল্যাণ স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ সুমিত্রা পাত্র, জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক, জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন ডক্টর দিলীপ কুমার দাস, জেলা শিশু সুরক্ষা আধিকারিক সারদা গিরি সহ ডিস্ট্রিক্ট চাইল্ড প্রোটেকশন ইউনিটের আধিকারিক গণ ও জেলার বিভিন্ন হোম থেকে আগত প্রতিনিধিরা।

district officer | newsfront.co
অনন্যা চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র

এই বৈঠকে দুটি ইস্যু নিয়ে মূলত আলোচনা হয়। একটি হচ্ছে লকডাউন পিরিয়ডে শিশুরা কি কি সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল এবং তা থেকে জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট কি ভাবে ওভার কাম করেছে। আরেকটি হল কিভাবে চাইল্ড প্রটেকশন কমিটিকে আরও কার্যকরী করা যায়।

আরও পড়ুনঃ দুঃস্থ পড়ুয়াদের স্মার্ট ফোন দেওয়ার ভাবনা নব নিযুক্ত চেয়ারম্যানের

এই দুটি ইস্যুর উপরে বিশেষভাবে আলোচনা হয়। সেখানে প্রত্যেক বক্তা তাদের মূল্যবান বক্তব্য পেশ করেন। রাজ্য শিশু সুরক্ষা আয়োগের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি চক্রবর্তী সার্বিক বিশ্লেষণ ও পরিচালনা করে পূর্ব মেদিনীপুরের শিশু সুরক্ষা সংক্রান্ত কর্মকাণ্ডের ভূয়সী প্রশংসা করেন। সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে লকডাউন পিরিয়ডে গত বছরের তুলনায় প্রতি জেলায় বাল্যবিবাহ বেড়ে যাচ্ছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিভাবকদের কাছ থেকে মুচলেখা লিখিয়ে নেওয়াটা সঠিক পদ্ধতি নয়। বাল্য বিবাহের ব্যবস্থা করলে বা বাল্য বিবাহের ঘটনা ঘটলেই তার বিরুদ্ধে এফআইআর করা উচিত।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন “আমাদের জেলায় বেশকিছু শিশুদের হোম রয়েছে, যেখানে শিশুরা বসবাস করছে তাদেরকে সুস্থ ভাবে রাখাটাই আমাদের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। বিশেষ করে খাদ্য সামগ্রী মজুদ রাখা, স্যানিটাইজার করা,সঠিক সময়ে মেডিকেল চেকআপ করা, সে সব বিষয় আমরা দক্ষতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছি এখনও পর্যন্ত কোন শিশুদের হোমে কোন শিশু করোনার শিকার হয়নি।”

আরও পড়ুনঃ চিকিৎসা বিজ্ঞানকে স্যালুট ৬৭ বছরের করোনা জয়ীর

জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক পূর্ণেন্দু পৌরাণিক এই কঠিন পরিস্থিতিতে শিশুদেরকে সঠিকভাবে সার্ভিস দেওয়ার জন্য জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের কর্মীবৃন্দ ও হোমের সুপার সহ অন্যান্য কর্মীদের অবদানের কথা উল্লেখ করেন।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here