সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
ফড়েদের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে চাষিরা অভিযোগ করছিলেন বেশ কয়েকদিন ধরেই।সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে রাজ্য প্রশাসনের তরফে বেশ কিছু নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে।এবার ফড়ে রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে বর্ধমান জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব ধান কেনার প্রক্রিয়া দেখতে জেলা কৃষি খামারে গেলে চাষিরা খাদ বাদ দেওয়া নিয়ে ক্ষোভ দেখান। জেলা পরিষদের সঙ্গে চালকল মালিকদের একটি বৈঠকে ঠিক হয়, প্রতি বস্তায় (৬০ কেজি) সর্বোচ্চ তিন কেজি খাদ বাদ দেওয়া যাবে। ইতিমধ্যে রাজ্যে খাদ্য কমিশনার চাষিদের কাছ থেকে সর্বোচ্চ ৪৫ কুইন্টাল ধান কেনার নির্দেশ জারি করেছেন। জেলায় ধান কেনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার টন। এখনও পর্যন্ত ধান কেনা হয়েছে ১ লক্ষ ২৮ হাজার টন। অভিযোগ উঠছে যে কোন কোন চালকল ইতিমধ্যে এত বস্তা ধান কিনে ফেলেছে যে রাখার জায়গা নেই।আবার ধান নেওয়ার পর চাষিদের বস্তা ফিরিয়ে দেওয়া নিয়েও গড়িমসির অভিযোগ উঠছে অনেকক্ষেত্রে। তাছাড়া কম দামে ধান কিনে এনে ফড়েরা প্রান্তিক চাষির নামে কিসান মান্ডিতে রেজিস্ট্রেশন করিয়ে বর্ধমানের বেশ কয়েকটি জায়গার চালকলকে কিনতে বাধ্য করছেন।সেই বিষয়গুলিকে খতিয়ে দেখতেই সরজমিনে গিয়ে দেখলেন জেলা শাসক।চালকল মালিক সমিতির রাজ্য কার্যকরী সভাপতি আব্দুল মালেকের বক্তব্য,কোন চাষি কত ধান সহায়ক মূল্যে বিক্রি করলেন প্রতিদিন তার তালিকা পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের আলোর নীচে অন্ধকারই যেন ভবিতব্য মির্জাপুরের
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584