নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুরঃ
নতুন জেলা কমিটি গঠনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো যুব সম্মেলন।সংগঠনেকে আরো মজবুত ভিতের উপর প্রতিষ্ঠিত করা এবং সংগঠনকে আরও সম্প্রসারিত ও আন্দোলনমুখী করার শপথের মধ্য দিয়ে রবিবার শেষ হলো ডিওয়াইএফআই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা কমিটির দুদিনের সম্মেলন।’তীব্র করো মতাদর্শ,কাজ ,গণতন্ত্র ও সম্প্রীতির সংগ্রাম’ এই আহ্বানকে সামনে রেখে শনিবার খড়্গপুর শহরে শুরু হয়েছিল ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (ডিওয়াইএফআই)এর ১৯তম পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সম্মেলন।সম্মেলন উপলক্ষ্যে সম্মেলন মঞ্চ প্রেমবাজার মৈত্রী ভবনের নামকরণ করা হয়েছিল শহিদ যুব নেতা গৌতম মিত্রর নামে এবং শহরের নামকরণ করা হয়েছে কিউবার প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর নামে। সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের আগে তালবাগিচা রথতলা ময়দানে প্রকাশ্য সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ মহম্মদ সেলিম। এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তাপস সিনহা, বর্তমান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভয় মুখার্জি, জেলা সম্পাদক দিলীপ সাউ। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা সভাপতি রঞ্জিত পাল।সাংসদ সেলিম তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকারের বিভিন্ন নীতি,বিশেষ করে কর্মসংস্থান বিষয়ে উভয় সরকারের “ভাঁওতাবাজি” নীতির তীব্র সমালোচনা করেন।তিনি এও বলেন বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের পরিপূরক,তাই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সংসদে সেভাবে তৃণমূল সোচ্চার হয় না,আর অন্যদিকে অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রের তদন্তের কাজও এগোচ্ছে না। তিনি বিজেপি ও তৃণমূল উভয় দলের মেরুকরণের রাজনীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হন।তাপস সিনহা তাঁর বক্তব্যে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র গণআন্দোলন গড়ে তুলে এই দুই সরকারেরই উৎখাতের আহ্বান জানান যুব সমাজের উদ্দেশ্যে।অভয় মুখার্জি বলেন, দুই সরকার কর্মসংস্থানের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুবকদের বিভ্রান্ত করছে।সমাবেশে জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বেশ কয়েক হাজার যুবক যুবতী যোগ দেন। সমাবেশের শেষে সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও শহীদ বেদীতে মাল্যদানের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। সম্মেলনে জেলায় সংগঠনের ৪৩ টি লোকাল কমিটি থেকে ৩০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধি যোগ দেন। সম্পাদকীয় প্রতিবেদন পেশ করেন বিদায়ী সম্পাদক দিলীপ সাউ। প্রতিবেদনের উপর আলোচনায় অংশ নেন ৫০ জনেরও বেশি যুব প্রতিনিধি।সম্মেলনে গন আন্দোলনের নেতৃত্ব, বিভিন্ন ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের প্রতিনিধিরা এবং সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। সম্মেলন শেষে ৫৫ জনের নতুন জেলা কমিটি গঠিত হয়।নতুন সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন সুমিত অধিকারী এবং সভাপতি পদে পুনরায় নির্বাচিত হন রঞ্জিত পাল।
আরও পড়ুনঃ নব নির্বাচিত দিপাকে সৌজন্য জানাতে দেখা গেল না প্রাক্তন নিতাই এর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584