উজ্জ্বল দত্ত, কলকাতাঃ
উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদ প্রায় ফাঁকা হয়ে যেতে বসেছে তৃণমূলের কাছে। খাদ্যমন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গড় ধরে রাখার চেষ্টা চালিয়ে গেলেও নিজের গড় ধরে রাখতে পারা নিয়ে ইতিমধ্যেই উঠেছে প্রশ্ন। এর আগে এই জেলা পরিষদের চারজন সদস্য সহ বেশ কিছু স্থানীয় নেতা বিজেপিতে যোগদান করেছেন।

বনগাঁর রতন ঘোষের পর এবার হাসনাবাদের ফিরোজ কামাল গাজি ওরফে বাবু মাস্টার। উত্তর চব্বিশ পরগনার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের পদ থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি। জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ ছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, দলের মধ্যে অসম্মানিত হচ্ছিলেন, শীর্ষ নেতৃত্বকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি। সেই কারণেই পদত্যাগ করলেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ আলুচাষে কষ্টার্জিত পুঁজি বিনিয়োগ,হাতির তান্ডবে মাথায় হাত চাষীদের
দুহাজার এক সালে এসএসসি পরীক্ষা দিয়ে ভবানীপুর মডেল হাইস্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পেয়েছিলেন বাবু মাস্টার। তবে রাজ্যে রাজনৈতিক পালাবদলের পরে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের হাত ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেছিলেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই দলের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন তিনি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের হাসনাবাদ আসন থেকে জয়ী হন।
এদিকে লোকসভা নির্বাচনে হাসনাবাদ বিধানসভা এলাকা থেকে অনেক ভোটে এগিয়ে ছিলেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। কিন্তু, তারপর থেকেই দলের মধ্যে ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন বলে দাবি করেন তিনি। এরপর সন্দেশখালি গণহত্যায় তাঁর নামেও মামলা দায়ের হয়। এই মুহূর্তে তাঁর বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা চলছে। তার মধ্যে তিনটি মাছ চুরির মামলা। বাবু মাস্টারের অবশ্য দাবি, সব কটি মামলাই মিথ্যে। কিন্তু, দল তাঁকে কোনওরকম সাহায্য করেনি।
আরও পড়ুনঃ বোরখা পরিহিত ভোটারদের পরিচয় খতিয়ে দেখতে মহিলা সিপিএফ কর্মীর দাবি বঙ্গ বিজেপির
এ প্রসঙ্গে বাবু মাস্টার বলেন, “দলে থেকে আমি ভীষণ অসম্মানিত হচ্ছিলাম। তাই, আজ পদত্যাগ করলাম। বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছি।”
সম্প্রতি উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ রতন ঘোষ পদত্যাগ করে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এবার তাঁর পদ অনুসরণ করে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন বাবু মাস্টারও।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584