মাটির প্রদীপ হারিয়ে গেলেও চাহিদা আছে ঝাড়গ্রামের দেওয়ালি পুতুলের

0
529

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ

মাটির প্রদীপ আগেই হার মেনেছে এলইডি আলোর কাছে। আধুনিক রঙিন আলোর নানা নকশার কাছে মাটির প্রদীপ, ডিবরি, কুপি এমনকী মোমবাতির বাজারও মার খাচ্ছে দিন দিন।

diwali doll is depamading | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

ব্যতিক্রম শুধু ঝাড়গ্রামের ঐতিহ্যশালী দেওয়ালির পুতুল। প্রতিযোগিতায় এখনও অন্যদের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে এটি। দেওয়ালি উৎসবের সময় ঝাড়গ্রাম ও তার আশপাশে এখনও এই মাটির পুতুল ব্যবহৃত হয়। মাঝে এক সময় বিক্রি তলানিতে এসে ঠেকেছিল ঠিকই তবে বছর কয়েক হল ফের বিক্রি বেড়েছে।

মৃৎশিল্পীর কথায়, “বৈদ্যুতিক আলোর দাপটে প্রদীপ-ডিবরির চাহিদা অনেকটাই কমেছে। দেওয়ালি পুতুল অবশ্য এখনও টিকে আছে। আগের বছর বিক্রি ভালই হয়েছে কিন্তু এ বছর বিক্রি কেমন হবে সেটাই ভাবাচ্ছে মৃৎশিল্পীদের।”

diwali doll is depamading | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

আরও পড়ুনঃ শ্যামা আরাধনায় কৃত্রিম জবা মালার আধিক্য

দেওয়ালি পুতুল তৈরিতে যেমন হাতের সূক্ষ্ম কারুকার্য থাকে, তেমন চাক ছাঁচেরও সাহায্য নেওয়া হয়। কোনও পুতুলে দুটি হাত, আবার কোনও পুতুলে আট-দশটিও হাত থাকে। পুতুলগুলোয় প্রদীপ বা ডিবরি বসানোর ব্যবস্থা থাকে। এক একটির আবার এক এক রকম উচ্চতা হয়। ১০-১২ ইঞ্চি থেকে শুরু। ২-৩ ফুটেরও হয়। অবশ্য এখন ২-৩ ফুটের দেওয়ালি পুতুল খুব কমই তৈরি হয়।

মৃৎশিল্পীর কথায়, “বেশি উচ্চতার পুতুল অনেকে কিনতে চান না। তৈরি করলে পড়েই থাকে। তাই কেউ বরাত দিলেই দু-তিন ফুটের পুতুল তৈরি করি। সাধারণত ছোট পুতুলই বেশি বিক্রি হয়।” বৈচিত্র্যময় এই পুতুলের শুধু ঝাড়গ্রাম ও আশেপাশের এলাকাতেই নয় কলকাতার বাজারেও ভালো চাহিদা রয়েছে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here