নিজস্ব সংবাদদাতা , বাঁকুড়াঃ
হাসপাতালে পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে গিয়ে মদ্যপ এক অস্থায়ী কর্মীকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিলেন বাঁকুড়া জেলা শাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস। শনিবার বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালের ঘটনা।
জেলাশাসক হিসেবে ডাঃ উমাশঙ্কর এস বাঁকুড়ায় কাজে যোগ দেওয়ার পর থেকেই জেলার সরকারী স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র গুলির পাশাপাশি মহকুমা, জেলা ও সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল গুলিতে নিয়মিত ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করছেন তিনি। এদিন সেরকমই বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে হঠাৎ পৌঁছে যান জেলাশাসক। তিনি ঐ হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ‘মেল মেডিসিন বিভাগে’ গেলে এক মদ্যপ ব্যক্তি জেলাশাসককে কিছু বলতে চায়। জেলাশাসক হাসপাতাল সুপারের কাছে ঐ ব্যক্তির পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাহুল সরকার নামে ঐ ব্যক্তি এই হাসপাতালে ‘অস্থায়ী’ কর্মচারী হিসেবে কাজ করেন। জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস তৎক্ষণাৎ ঐ কর্মচারীর স্বাস্থ্য পরিক্ষার পর পুলিশকে গ্রেফতারের নির্দেশ দেন। পরে বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ রাহুল সরকার নামে ঐ অস্থায়ী কর্মচারীকে গ্রেফতার করে।
বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে কি করে কর্ত্তৃপক্ষের নজর এড়িয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারী হাসপাতালে মদ্যপ ব্যক্তি দিনের পর দিন কাজ করে চলেছেন সে নিয়েই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে হাসপাতাল কর্ত্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলছেন রোগীর আত্মীয় থেকে সাধারণ মানুষ।
জেলাশাসককে এদিন হাতের কাছে পেয়ে ভর্তি থাকা রোগীরা নানান অভিযোগ করেন। তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে জেলাশাসক এদিন হাসপাতালের বাইরে থেকে রোগীদের ওষুধ কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ ওঠে এক জেনারেল ফিজিশিয়নের বিরুদ্ধে। জেলাশাসক সি.এম.ও.এইচকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেন। এছাড়াও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের এক আধিকারীক নিয়মিত আসেন না বলেও অভিযোগ ওঠে। এবিষয়েও তৎক্ষণাৎ জেলাশাসক বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেন।
পরে জেলাশাসক ডাঃ উমাশঙ্কর এস বলেন, ঐ ব্যক্তি একজন হাসপাতালের অস্থায়ী কর্মচারী। মহকুমা শাসকের নির্দেশে পুলিশ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্ত্তৃপক্ষকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। বিস্তারিত রিপোর্ট হাতে পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, হাসপাতাল কর্মীদের উপস্থিতির ক্ষেত্রে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। হাসপাতালের পরিকাঠামো উন্নয়ন প্লসঙ্গে তিনি বলেন, দু’টো ওয়ার্ডে জায়গার অভাব আছে। প্রসূতি ও শিশু বিভাগের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু করা হয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন সমস্যার দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।
আরও পড়ুনঃ পুলিশ পেটানোর নিদান দেওয়ায় পরেই গ্রেফতার বিজেপি জেলা সভাপতি
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584