মহামারীর কারণে বন্ধ হতে চলেছে ডোমকলের তাঁত ফ্যাক্টরি

0
61

সজিবুল ইসলাম, মুর্শিদাবাদঃ

এই করোনা মহামারির কবলে বিপর্যস্ত সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবন। করোনা প্রতিরোধে বন্ধ হয়েছে স্কুল, কলেজ, যোগাযোগ ব্যবস্থা, ক্ষতি হয়েছে বিভিন্ন ব্যবসার। কাজ হারিয়েছেন বহু পরিযায়ী শ্রমিক, বন্ধ হয়েছে বিভিন্ন দোকান পাট থেকে ফ্যাক্টরি ঠিক এমনই চিত্র ধরা পড়ল মুর্শিদাবাদের ডোমকল ফতেপুরে।

Factory
নিজস্ব চিত্র

এই কাজ স্থায়ী নয় তবে মাস গেলে যা টাকা পায় তাতেই দিব্যি কেটে যায় সংসার। কিন্তু করোনা কালে দিনের পর দিন সুতোর দাম বাড়লেও বাড়েনি এই ফ্যাক্টরির তৈরি গামছার দাম। অন্যদিকে করোনা প্রতিরোধে রাজ্য জুড়ে চলছে সরকারি বিধিনিষেধ, তার জন্য ফ্যাক্টরি চালাতে বেড়েছে খরচ। এই পরিস্থিতিকে সামাল দিতে না পারায় বন্ধ হতে চলছে মুর্শিদাবাদের ডোমকল ফতেপুর ৫০ জন শ্রমিকের একটি তাঁত ফ্যাক্টরি। এমনটাই জানা গেছে ফ্যাক্টরির মালিক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে।

Tant factory
নিজস্ব চিত্র

বিগত চার বছর আগে প্রায় দশ’টা মেশিন ও পঞ্চাশ জন শ্রমিক নিয়ে পথ চলা শুরু করেন ফতেপুরের তাত শিল্পী মাকসুদাল ইসলাম। এই ফ্যাক্টরি থেকে যা আয় ব্যয় ছিল তাতে ঠিক ঠাকই চলছিলো মাকসুদাল ইসলামের সংসার থেকে শ্রমিকদের সংসার।

তবে গত দু’বছর আগে মহামারী করোনা সেই চিত্র পাল্টে দেয়। তাঁত শিল্প চালাতে গেলে যা প্রধান দরকার সেই সুতোর দাম বেড়ে চলেছে হুড়হুড় করে। অথচ গামছার দাম একই রয়েছে কয়েক বছর ধরে। যার জন্য ফ্যাক্টরি চালাতে হিমশিম খাচ্ছে তারা।

আরও পড়ুনঃ কন্যাশ্রীর টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ সিএসপি কর্মী এবং ব্যাঙ্কের ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে

ফ্যাক্টরি কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, সরকারিভাবে সুতোর দাম কমালে, নয়তো বা গামছার দাম বাড়ালেই চালানো যাবো এই তাঁত শিল্প। আর যদি তা না হয়। করোনা কালে দেশের বিভিন্ন শ্রমিকের মত এই ফ্যাক্টরি শ্রমিকদেরও চলে যাবে কাজ। এই কথা শুনে ভেঙ্গে পড়েছে শ্রমিকদের একাংশ। কেননা মহামারি কালে নুন আনতে পান্তা ফুরায়, এমন সময় সবে কাজে লেগে পরিবারকে সাহারা দিচ্ছে এই পরিবারের ছেলে ও মেয়েরা। তবে ফ্যাক্টরি বন্ধ হলে তাদের দিন কাটবে অনাহারে।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here