পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
মঙ্গলবার মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল ঘোষণার পরেই ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা জানিয়ে দিল সিউড়ি নেতাজি বিদ্যাভবনের ছাত্র অরিত্র মাহারা।এবারে মাধ্যমিকে রাজ্য দশম স্থান অধিকার করেছে অরিত্র। সাধারণ নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের ছাত্র অরিত্র হতে চায় আইএএস।
অরিত্র জানায়,ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখত আইএএস হবার।সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করার জন্য পড়াশোনায় কখনো কার্পন্য করেনি।আশা ছিল যথেষ্ট ভালো ফল হবে মাধ্যমিকে।তাই বলে রাজ্যে যে দশম স্থান সেটা একেবারেই বাড়তি পাওনা।নিয়মের বেড়াজালে নিজেকে বেঁধে কখনোই পড়াশোনা করেনি, সব সময় পড়াশোনার পাশে খেলাধুলা কেউ সমান গুরুত্ব দিয়েছে অরিত্র।অরিত্র মনে করে,শুধু পড়াশোনার মাধ্যমে একজন মানুষের চরিত্রের গঠন তৈরি হতে পারে না, প্রকৃত মানুষ হবার জন্য প্রত্যেক ছাত্রের খেলাধুলার মধ্য দিয়ে নিজেকে গড়ে তোলা উচিত।
তবে পরীক্ষার ছয় মাস আগে থেকে ১০ ঘণ্টা করে নিয়মিত পড়াশোনা করেছে অরিত্র। ভালো বন্ধুর মতো বাবা-মা’র সহযোগিতা সব সময় পেয়েছে বলে দশম স্থানাধিকারী এই ছাত্র দাবি করে।
সিউড়ি পৌর এলাকার সুড়িঁপুকুরপাড়ার বাসিন্দা বিমল মাহারা পেশায় সামান্য ব্যবসায়ী। বিমল বাবু দাবি করেন ছোটবেলা থেকে কখনো ছেলেকে পড়াশোনার জন্য অতিরিক্ত বা বাড়তি চাপ দিতে হয় নি। পড়াশুনা নিয়ে যেমন সচেতন ছিল অরিত্র পাশাপাশি খেলাধুলা নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহী ছিল সে। যে ফল আশা করেছিলাম বাবা হিসেবে তার থেকে অনেক বড় প্রাপ্তি হয়েছে। অরিত্র যদি স্বপ্ন পূরণ করতে পারে আইএএস হবার তাহলে তা আমাদের রাজ্যের নাম দেশের বুকে উজ্জ্বল হবে।
আরও পড়ুনঃ আর একটু ভালো নম্বরের পেলে ভাল লাগত,মত ক্যামেলিয়ার
মা চৈতি মাহারা জানান, আমি তো গৃহবধূ, ছোটবেলা থেকে ছেলে সব সময় বলতো, মা তুমি চিন্তা করো না বড় হয়ে তোমার আর বাবার মুখ আমি উজ্জ্বল করবই। তো আজ সত্যি প্রমাণ করলো ছেলে। সকাল থেকে টিভির সামনে বসে ছিলাম, রাজ্যে দশম স্থান অধিকার করেছে তা জানার পরে আনন্দে আর গর্বে বুক ভরে গেছে।ওর স্বপ্ন পূরণ করতে মা হিসেবে যা যা করতে হবে তাই তাই করবো।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584