নিজস্ব সংবাদদাতা, বিনোদন ডেস্কঃ
প্রয়াত পরিচালক নিশিকান্ত কামাত। হায়দ্রাবাদের গাচ্ছিবউলি-তে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন পরিচালক। সোমবার বিকাল ৪ টে ২৪ মিনিটে হায়দ্রাবাদের ওই হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। লিভার সিরোসিসের সমস্যায় বহুদিন ধরেই ভুগছিলেন নিশিকান্ত, অতীতের সেই সমস্যাই আবার দেখা দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
অবশেষে থেমে গেল সব লড়াই। ৫০ বছর বয়সী পরিচালক নিশিকান্ত কামাতের মৃত্যু সংবাদ নিশ্চিত করেছেন তাঁর দীর্ঘদিনের বন্ধু, তথা লাই ভরি ছবির মুখ্য অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ। টুইটারে অভিনেতা লিখেছেন, “বন্ধু তোমায় মিস করব। শান্তিতে থেকো।”
সংবাদ সংস্থা এএনআইকে হায়দ্রাবাদের ওই বেসরকারি হাসপাতালের তরফে জানানো হয় লিভার সিরোসিরের সমস্যার জেরে বিকাল ৪ টে ২৪ মিনিটে মৃত্যু হয়েছে পরিচালক নিশিকান্ত কামাতের।
সূত্রের খবর, পরিচালক মিলাপ জাভেরি প্রথম টুইট করে জানান যে প্রয়াত নিশিকান্ত কামাত। অনুমান সেখান থেকেই এ দিন সকালে পরিচালকের মৃত্যুর খবরের গুজব রটে যায়। যদিও তার কিছুক্ষণের মধ্যেই ফের টুইট করেন মিলাপ।
আরও পড়ুনঃ করোনা আক্রান্ত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী
জানান হায়দ্রাবাদের যে বেসরকারি হাসপাতালে নিশিকান্তের চিকিৎসা চলছে সেখানকার একজনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। নিশিকান্ত কামাত ভেন্টিলেশনে রয়েছে এবং তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। তবে তাঁর মৃত্যু হয়নি। নিশিকান্তের জন্য সকলকে প্রার্থনা করার আবেদন জানান তিনি। এর মধ্যেই হাসপাতালের তরফেও বিবৃতি দিয়ে একই কথা জানানো হয়। টুইট করেন অভিনেতা রীতেশ দেশমুখ।
তিনিও জানান যে নিশিকান্ত সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন। জুলাই মাসের ৩১ তারিখ হায়দ্রাবাদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন নিশিকান্ত। গত ১২ অগাস্ট হাসপাতালের তরফে একটি বুলেটিনে বলা হয় জন্ডিস এবং তলপেটে যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন পরিচালক। চিকিৎসকরা সেই সময় জানান পরিচালকের অবস্থা সঙ্কটজনক তবে স্থিতিশীল।
আরও পড়ুনঃ জি ফাইভের ‘অভয় টু’ তে অপরাধীদের ছবিতে শহীদ ক্ষুদীরাম বসু!
চিকিৎসকরা আরও জানান যে বছর পঞ্চাশের নিশিকান্ত অনেকদিন ধরেই লিভারের সমস্যায় ভুগছেন। হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর তাঁর লিভারের চিকিৎসাও শুরু হয়। কিন্তু জন্ডিসের সঙ্গে সঙ্গে ক্রমাগত মাথাচাড়া দিয়ে উঠছিল নিশিকান্তের ক্রনিক রোগ লিভার সিরোসিস।
মরাঠি ছবি ‘ডম্বিভালি ফাস্ট’এর সঙ্গে ২০০৫ সালে পরিচালক হিসাবে কাজ করা শুরু করেন নিশিকান্ত। প্রথম ছবিতে ব্যবসায়িক সাফল্যের পাশাপাশি এসেছিল জাতীয় স্বীকৃতি। ২০০৬ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আসরে সেরা মরাঠি ছবির পুুরস্কার পেয়েছিল এই ছবি।
প্রায় এক দশক পর নিশিকান্ত কামাত জাতীয় স্তরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসেন তাঁর মালায়লম ছবির হিন্দি রিমেক ‘দৃশ্যম’এর জন্য। যে সাইকোজলিক্যাল থ্রিলারে লিড রোলে দেখা মিলেছিল অজয় দেবগণ ও তাব্বুর। এছাড়াও ইরফান খান অভিনীত ‘মদারি’, জন আব্রাহামের ‘ফোর্স’, এবং বহুল প্রশংসিত ছবি ‘মুম্বই মেরি জান’এর পরিচালক নিশিকান্ত কামাত। জন আব্রাহাম অভিনীত ‘রকি হ্যান্ডসাম’ ছবিরও পরিচালক ছিলেন তিনি। ওই ছবিতে এক নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয়ও করেছিলেন পরিচালক।
পরিচালকের সঙ্গে সঙ্গে অভিনেতা হিসেবেও দর্শকদের মন জয় করেছিলেন নিশিকান্ত কামাট। সম্প্রতি অনিল কাপুরের ছেলে হর্ষবর্ধন কাপুর অভিনীত বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানির ‘ভবেশ যোশী সুপারহিরো’ ছবিতেও অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। আজ তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ গোটা বলিউড।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584