জয়জীবন গোস্বামী, বাঁকুড়াঃ
ধানের পর সব্জী চাষেও ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন বাঁকুড়ার চাষীরা।এক দিকে নেই পর্যাপ্ত সেচের জল,অপর দিকে পরিবেশ।
এখনও শীত জাঁকিয়ে না পড়ায় পোকা মাকড়ের উপদ্রব,অন্যদিকে উৎপাদিত সব্জীর দাম না পাওয়া।এই ত্রিমুখী যাঁতাকলে পড়ে চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে চলেছেন জেলার একটা বড় অংশের চাষী।
শিল্পবিহীন বাঁকুড়া জেলার একটা বড় অংশের মানুষের অন্যতম আয়ের উৎস কৃষি।ধানের পরেই এখানকার উৎপাদিত সব্জী এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম মাধ্যম কাজ করে।জেলার দক্ষিণে মুকুটমনিপুর কংসাবতী সেচ প্রকল্প ও উত্তরে ডিভিসি প্রকল্পে সেচের ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয়।ফলে আকাশের দিকেই চেয়ে থাকতে হয় সিংহভাগ চাষীকে।কিন্তু এবছর পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় শুধুমাত্র সেচের জলের অভাবেই পঞ্চাশ শতাংশেরও বেশী জমির ধান জমিতেই নষ্ট হয়েছে।
এখানকার চাষীরা মূলতঃ স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে ধানের চাষ করেন।সেই ঋণ এখন কিভাবে শোধ করবেন ভেবে পাচ্ছেননা তারা।এই অবস্থায় বাঁকুড়া সদর মহকুমার বাঁকুড়া-১ও২, বিষ্ণুপুরের পাত্রসায়র, সোনামুখী,খাতড়ার খাতড়া,সিমলাপাল, তালডাংরা ব্লক এলাকার মানুষ সব্জী চাষের উদ্যোগ নিয়েছিলেন।তাদের ভাবনা ছিল কিছুটা হলেও ধান চাষের ক্ষতি সামলে ওঠা যাবে।কিন্তু এখানেও সেই সেচের জলের অভাব।ফের সব্জী চাষ করেও ক্ষতির সম্মুখীন হতে চলেছেন তারা।
জেলা কৃষি দফতরের পক্ষ থেকেও চাষীদের দূরবস্থার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে।খাতড়া ও বাঁকুড়া সদর মহকুমা এলাকায় ধান চাষে ক্ষতি হয়েছে জানিয়ে ঐ দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, ঐ এলাকার চাষীদের তৈলজাত ও ডাল শস্যের বীজ সরবরাহ করা হবে।একই সঙ্গে শস্যবীমার বরাদ্দ অর্থও তারা যাতে পান তা নিশ্চিত করা হবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584