নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদহঃ
খবরের কাগজ থেকে বিভিন্ন সামগ্রি দিয়ে দূর্গা তৈরী করে জেলায় সুনাম ছড়িয়েছে পেশায় হোমগার্ড কর্মী বিষ্ণুচন্দ্র সাহা।
প্রতিমা তৈরীর মধ্যে দিয়ে তিনি তুলে ধরেন বিভিন্ন সমাজ সচেতনতার বার্তা। এবারও তিনি মাছ ধরার জালের সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরী করছেন। বাঁকুড়ার ডোকরা শিল্পের আদলে তৈরী করছেন প্রতিমা। থিম হিসাবে তুলে ধরেছেন বিশ্ব উষ্ণায়নের বার্তা।মালদা শহরের ২ নম্বর গর্ভমেন্ট কলনী বাগাযতীন ক্লাবের পূজিত হবে বিষ্ণুবাবুর সুতোর তৈরী প্রতিমা। তবে এবারো দর্শকদের নজর কাড়বে এই প্রতিমা আশাবাদী শিল্পী।
ইংরেজবাজার শহরের কৃষ্ণকালিতলার বাসিন্দা বিষ্ণুচন্দ্র সাহা। পরিবারে রয়েছে স্ত্রী ও এক মেয়ে। পেশায় হোমগার্ড কর্মী বিষ্ণুবাবু অবসর সময়ে সখের বসে প্রতিমা তৈরী করেন। একসময় বাবা মনহরচন্দ্র সাহা মৃৎশিল্পী ছিলেন। বাবার কাছেই হাতেখড়ি। তবে চাকুরি পেয়ে যাওয়ায় বন্ধ হয় কাজ। গত দশবছর থেকে কাজের ফাঁকে অবসর সময়ে একটা দুটো করে প্রতিমা তৈরী করছেন। তবে নতুন চিন্তা ভাবনায় প্রতিমা তৈরী করে একাধিকবার সম্মানিত হয়েছেন। কাগজের প্রতিমা তৈরী করে ২০১৬ সালে বিশ্ব বাংলা সম্মান পান। তবে মাঝে তিন বছর প্রতিমা তৈরী করতে পারেননি অসুস্থতার জন্য। এবার ফের কাজ করছেন। প্রায় এক বছর থেকে প্রতিমা তৈরী করছেন। খড়ের তৈরী বুনির উপর প্যারিস প্লাস্টারের প্রলেপ দেওয়া হয়েছে। তার উপর আঠা দিয়ে সুতো দিয়ে প্রতিমা তৈরী করছেন। প্রতিমা তৈরী করতে প্রায় ৩৫ কেজি সুতোর প্রয়োজন হয়েছে। একা কাজ করা সম্ভব হয়না তাই স্ত্রী পূর্ণিমা সাহা নিয়মিত সাহায্য করেন।
আরও পড়ুনঃ শতবর্ষ প্রাচীন দেব পরিবারের দুর্গাপুজোর ঐতিহ্য ধরে রাখার চেষ্টা
প্রতিমার এক হাতে থাকছে একটি পৃথিবী। মাথার উপরে শিব মূর্তি। শিবের জটা থেকে জল পড়বে পৃথিবীর উপর। ঠান্ডা করবে পৃথিবীকে। বিশ্ব উষ্ণায়নের বার্তা দিতে এমন চিন্তাভাবনা। বিষ্ণুবাবু বলেন,প্রতিবছর দর্শরা আমার প্রতিমা দেখার জন্য অপেক্ষায় থাকে। এই বছর সুতোর তৈরী প্রতিমা আশাকরি মন জয় করবে দর্শকদের।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584