মোহনা বিশ্বাস, ওয়েব ডেস্কঃ
আজ দশমী। করোনা বিধি মেনে প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য প্রস্তুত গঙ্গার ১৭ টি ঘাট। প্রত্যেক ঘাটেই নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন পুলিশ ও পুরকর্মীরা। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার থেকে ১৮ অক্টোবর সোমবারের মধ্যে সমস্ত দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন দিতে হবে। এমনই গাইডলাইন জারি করেছে নবান্ন। শুক্রবার দশমীর দিন বাড়ির প্রতিমা ও ছোট বারোয়ারি পুজোগুলির প্রতিমা বিসর্জন হবে। শনিবার বিসর্জনের সংখ্যা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ, শুক্রবার দুপুর ৩টে থেকে প্রত্যেক ঘাটে মোতায়েন থাকবে পুলিশ। নজরদারি জন্য প্রত্যেক ঘাটে থাকছে লাইফ সেভিং বোট, স্পিড বোট, জেটস্কি। এই নজরদারির দায়িত্বে থাকছেন রিভার ট্রাফিক পুলিশ। দুর্ঘটনা মোকাবিলার জন্য তৈরি করা হয়েছে ডিএমজি-র বিশেষ রেসকিউ টিম। প্রতি টিমে স্কুবা ডাইভিং সেট-সহ থাকবেন ৫ বিশেষ প্রশিক্ষিত ডিএমজি-র ডুবুরি। ডিজে অথবা মাইক ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। গঙ্গার ওই ১৭ টি ঘাটের মধ্যে জাজেস ঘাট, বাজে কদমতলা ও দই ঘাটে সবচেয়ে বেশি ভিড় হবে। তাই স্বভাবতই সেখানে ক্রেন, পুলিশ ও পুরকর্মীরা বেশি সংখ্যায় থাকবেন। গোটা বিসর্জন প্রক্রিয়ার ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছেন ৩ জয়েন্ট সিপি।
আরও পড়ুনঃ বুর্জ খলিফার আলো বন্ধ করার পরও কলকাতার রাস্তায় জনস্রোত, ভিড় এড়াতে বাতিল কিছু বিশেষ ট্রেন
এছাড়াও, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন তিন হাজার পুলিশ কর্মী ও প্রতিমা বিসর্জনে সাহায্য করতেদু’হাজারের বেশি পুরকর্মী ও অফিসার মোতায়েন করা হয়েছে। পুরসভার এই কর্মসূচির দায়িত্বে রয়েছেন পুর প্রশাসক মণ্ডলীর সদস্য ও বিধায়ক দেবাশিস কুমার।
আরও পড়ুনঃ কয়লা বাবদ অর্থ মেটাতে রাজ্যকে চিঠি কেন্দ্রের, কয়লা সংকট মানতে নারাজ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী
অন্যদিকে, গঙ্গার ঘাটের সঙ্গে সঙ্গে কলকাতার ৩৪টি পুকুরেও দুর্গাপ্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। তাই প্রত্যেকটি পুকুরেও নিরাপত্তার জন্য থাকছে বিশেষ পুলিশি ব্যবস্থা। শুধু তাই নয়, করোনা বিধি না মেনে যদি কোনও পুজো কমিটি শোভাযাত্রা বের করে, তবে সেই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। নবান্নের তরফে গাইডলাইন জারি করে পুজো কমিটিগুলিকে এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584