শরীয়তুল্লাহ সোহন, ওয়েব ডেস্কঃ
উৎসব প্রিয় বাঙালির শরৎকালে কাশ ফুলে দোলা লাগলেই মন যেন আন্দোলিত হয়ে উঠে। কাঠি পড়ে ঢাকে। চারিদিক উৎসবের আমেজে সেজে উঠে। কারণ শরতের আগমনের মধ্যে দিয়েই আগমন ঘটে মা দূর্গার। শুরু হয় বাঙালিদের সব থেকে বড় উৎসব দূর্গা পূজো। বিভিন্ন সাজে বিভিন্ন ভাবে আয়োজন করা হয় পূজোর। এপার-ওপার দুই বাংলার হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের সার্বিক উপস্থিতিতে বিভিন্ন রকম ধাঁচ ও ঢঙে সাজিয়ে তোলা হয় প্যান্ডেল, পূজো মন্ডপ। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মেতে উঠে উৎসবে।
সেই দূর্গা পূজোর আনন্দে মেতে উঠে লালগোলা বাসীও। দূর্গা পূজোর ইতিহাসের পাতা ঘাঁটলে দেখা যাবে লালগোলায় স্বাধীনতার পূর্বেই শুরু হয় দূর্গা পূজো। ১৯৪৪ সালে প্রথম দূর্গা পূজো শুরু হয় লালগোলার মাটিতে। লালগোলা ব্লকের পাহাড়পুর এলাকার মাতৃ মন্দির বহু দিনের পুরানো এক মন্দির। সেই মন্দির কমিটির হাত প্রথম ১৯৪৪ সালে দূর্গা দেবীর প্রতিমা তৈরি করে পূজোর আয়োজন করা হয়। তাদের এই প্রয়াসে সাড়া দিয়ে লালগোলা ব্লকের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ জন সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
আরও পড়ুনঃ সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, অষ্টমীতে কলকাতা সহ আরও ৭ জেলায় বৃষ্টির পূর্বাভাস
এরপর সময়ের তালে লালগোলা ব্লকের বিভিন্ন জায়গায় দূর্গা পূজোর আয়োজন হতে শুরু করে। তবে এখনও বহু মানুষ পূজো আসলেই ছুটে আসে এই মন্দিরে। তাদের বিশ্বাস এই মন্দিরকে কেন্দ্র করে মা দূর্গার আবির্ভাব। তাই লালগোলা বাসীর কাছে এই মন্দির অনেক পূণ্যের ও ভালোবাসার চারণক্ষেত্র।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584