পিয়ালী দাস, বীরভূমঃ
কথিত আছে গোটা বিশ্বে সতী পীঠস্থানের সংখ্যা একান্নটি।আর সবথেকে বেশি পীঠস্থানের সংখ্যা বীরভূমে।মোট পাঁচটি।‘বক্রেশ্বর’, ‘নন্দিকেশ্বরীতলা’, ’কংকালীতলা’,’ফুল্লরাতলা’, ’নলাটেশ্বরী’।এই তথ্য কম-বেশি অনেকেই জানেন।কিন্তু এই বীরভূম জেলায় এই পাঁচটি পীঠস্থানের মধ্যে মাত্র একটি পীঠস্থানে শরৎকালের দুর্গাপুজো হয়।
সেই পীঠস্থানটি ‘বক্রেশ্বর’।বাকি পীঠস্থানগুলিতে সারা বছর ধরে দেবী দুর্গাকে যে ভাবে পূজো করা হয়,সেই ভাবেই ‘মা দুর্গা’ পূজিত হন।কিন্তু ব্যাতিক্রম শুধুমাত্র ‘বক্রেশ্বর’।‘বক্রেশ্বর’ পীঠস্থানটিতে সারা বছর ধরে ‘দেবী দুর্গা’- কে পূজিত করা হলেও,এই শরৎকালে যে চার-পাঁচ দিনের বাঙালিদের শ্রেষ্ঠ উৎসব ‘দুর্গাপূজো’ তা শুধু ‘বক্রেশ্বর’ই হয়।বক্রেশ্বর’ মন্দিরে একটি অষ্টধাতুর ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’-র মূর্তি আছে।সেই মূর্তিটিকে পুজো করা হয়,আর বাকি ‘দুর্গাপূজা’ যে ভাবে হয়।যেমন ‘ঘট’ আনা থেকে শুরু করে ‘বলিদান’পর্যন্ত সবকিছুই। ‘সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী, দশমী’তে যে ভাবে পুজোর আচার মানা হয় সেই ভাবেই এই পুজো হয় ‘বক্রেশ্বরে’।
বীরভূম জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যিনি গবেষনা করছেন সেই গবেষক ডঃ আদিত্য মুখোপাধ্যায় জানান গোটা বিশ্বের একান্নটি সতীপীঠের তথ্য জানা না গেলেও বীরভূম জেলায় যে পাঁচটি সতী পীঠ রয়েছে,তার মধ্যে শুধুমাত্র এই ‘বক্রেশ্বর’ পীঠস্থানটিতেই শরৎ কালের দুর্গাপুজো আমরা দেখি।বাকি কোনও পীঠস্থানে তা হয় না।এই চারদিন ‘বক্রেশ্বরে’ ‘দেবী দুর্গা’-কে ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’রুপে পুজো করা হয়’।সুতরাং একান্ন পীঠের কথা না জানলেও বীরভূমের পাঁচটি পীঠস্থানের মধ্যে শুধুমাত্র ‘বক্রেশ্বর’ পীঠস্থানেই ‘মহিষাসুরমর্দ্দিনী’ রুপে ‘দেবী দুর্গা’ পূজিতা হন,তা অন্ততঃ বীরভূমের ক্ষেত্রে ব্যাতিক্রমী ও বিরল দুর্গা পুজো।
আরও পড়ুনঃ কোনারকের সূর্য মন্দিরের আদলে মন্ডপসজ্জা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584