সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ
মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেব তখন পরিব্রাজক অবস্থায় বাড়ি থেকে বেরিয়েছেন।তাঁর গন্তব্য তাঁর নয়নপথগামী শ্রী জগন্নাথদেবের মন্দির।পুরী যাবার পথে বর্তমান পূর্ব বর্ধমান জেলার মন্তেশ্বরের দেনুর এলাকায় এসেছিলেন।তখন থেকেই স্থানটি বৈষ্ণব শ্রীপাট নামে খ্যাত হয়। প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো এই বৈষ্ণব শ্রীপাট মন্দিরের সংস্কার করতে গিয়েই এলাকাবাসীর মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়লো। তার কারণ মন্দির সংস্কার করতে গিয়ে হাড়গোড়ের টুকরো পাওয়া গেল এবং তাতেই শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে দিলেন।
বর্তমান সেবায়িত কৃষ্ণ মহান্ত বাবাজী এবং স্থানীয় মানুষদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মহাপ্রভুর নির্দেশে বৃন্দাবন দাস ঠাকুর এই স্থানে বসেই চৈতন্য ভাগবত রচনা করেছিলেন। এর পরবর্তীকালে রামহরি মহান্তজী এই মন্দিরের প্রধান সেবায়ত হন।
সাধারণভাবে মনে করা হচ্ছে এই অস্থি বৃন্দাবন দাস বাবাজী অথবা প্রথম সেবায়েত মহন্তজীর হয়ে থাকতে পারে।এক্ষেত্রে যেরকম টেস্ট রয়েছে সেগুলি করালে ডিএনএর দ্বারা তা প্রমাণিত হবে। তবে এসব কোন কথাই শুনতে চাননি শ্রমিকরা তাঁরা এসব দেখে কাজ বন্ধ করে দেন।স্থানীয় মানুষদের বক্তব্য, এই মন্দিরটি প্রাচীন এবং দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের উদ্যোগ এর জন্য আবেদন করা হয়েছিল।অবশেষে তা হচ্ছে, কিন্তু এই হাড়গোড় পাওয়ায় ফের বিপত্তি দেখা গেল।
আরও পড়ুনঃ জঙ্গলে অগ্নিকান্ড প্রতিরোধে বিশেষ সতর্কতা
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584