পিয়ালী দাস,বীরভূমঃ
আবার অবৈধ বালিখাদানে রাশ টানতে উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হল বীরভূমে। বৈঠকে অবৈধ বালিখাদান, বালিপাচার, ওভারলোড নিয়ে জেলাশাসক,ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক এবং জেলার মালিক সমিতির মধ্যে আলোচনা হয়।
প্রশাসন সূত্রে খবর, অবৈধ বালি কারবার বন্ধ করতে এবার প্রযুক্তির সাহায্য নিচ্ছে বীরভূম জেলা প্রশাসন। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই রাজস্ব আদায়ের জন্য বিশেষ অ্যাপ চালু হয়ে যাবে।অ্যাপটির নাম ই-নজরদারি,যার মাধ্যমে বেআইনি ভুয়ো চালান মারফৎ লেনদেন সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা যাবে,এমনটাই দাবি করেছে প্রশাসন।বৈধ চালানে থাকবে কিউ কোড,অ্যাপটি চালু করে মোবাইল ক্যামেরা ধরলেই তার সম্পূর্ণ তথ্য চলে আসবে ফোনে।ফলে,অ্যাপের মাধ্যমে সহজেই জানা যাবে,গাড়ির নম্বর, বালির পরিমাণ,বালি কোন সময়ে লোড করা হচ্ছে ইত্যাদি।
২০১৬ সালে বীরভূম জেলার ব্রাহ্মণী,দ্বারকা, মৌয়ুরাক্ষী,হিংলো, সাল,অজয় প্রভৃতি নদীতে ২০৩টি ব্লক চিহ্নিত করে ই-টেন্ডার ডাকা হয়।এর মধ্যে ১৭৭ টি ঘাটের মালিক পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র পায়,বাকি সাতটি ঘাট এখনও নজরদারির আওতায় রয়েছে।ভুয়ো চালানের অভিযোগে ইতিমধ্যেই একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।সূত্রের খবর, ওই ব্যক্তি ময়ুরাক্ষী নদী থেকে বালি তুলে অবৈধ লেনদেনের ব্যবসা শুরু করেছিল।তাঁর ড্রেজিং করার চুক্তি প্রশাসনের পক্ষ থেকে খারিজ করা হয়েছে।
জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেছেন, “বালি ব্যবসায়ে স্বচ্ছতা আনতে এবং ব্যবসায়ীরা যাতে কোনও ভাবেই পথে-ঘাটে নাকাল না হয় তার জন্য অ্যাপ চালু করা হচ্ছে।এই মাসের মধ্যেই সেই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়ে যাবে।অ্যাপটি গুগল প্লে স্টোরের মাধ্যমে ডাউনলোড করা যাবে।” বীরভূম জেলা বালি মালিক সমিতির সভাপতি অরিন্দম সেনের কথায়,“অ্যাপের মাধ্যমে চালানের পরীক্ষার যে প্রক্রিয়ার শুরু হচ্ছে তাকে আমরা স্বাগত জানাই।এছাড়া আমাদের কিছু ব্লক মালিককে লিজ মানির ইনস্টলমেন্ট জমা করতে বলা হয়েছে।”
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584