নিজস্ব সংবাদদাতা,কোচবিহারঃ
তৃণমূল গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি নয় তাই, সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আন্দোলনে তাদের সারাও পাওয়া যাবেনা বলে মনে করে ফরওয়ার্ড ব্লক রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জি। শনিবার কোচবিহার সুকান্ত মঞ্চে কর্মী সভায় তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দলের কচবিহার জেলার সমাদক অক্ষয় ঠাকুর,দেবাশিস বনিক, গোবিন্দ রায়, দীপক সরকার, আব্দুর রউফ সহ আরও অনেকে।
এদিনে দলের কর্মীসভাতেও ভিড় ছিল চোখে পরার মতো। এখানেও প্রায় ২০০’শ কর্মী তৃণমূলের সঙ্গ ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দেয় বলে দাবি করেছে নেতৃত্ব।
নিজস্ব চিত্রএদিনের সভায় মুখ্য বক্তা ছিলেন দলের রাজ্য কমিটির সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জী।পরে এদিন জেলার দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে নরেনবাবু বলেন, ‘তৃণমূল গণতান্ত্রিক শক্তি নয় তাই ধর্ম নিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে তাদের কাছে পাওয়া অসম্ভব।
আমরা চাই গনতান্ত্র প্রিয় সাম্প্রদায়িক বিরোধী শক্তিগুলি এক জোট হয়ে রাজ্যের ঐতিহ্য রক্ষায় একজোট হোক।’
এদিন তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে রাখতে হবে সেদিনের তৃণমূলই আজকের বিজেপি।এ রাজ্যে তাদের মুখ মুকুল রায়।’
তবে বিজেপির জয়ের ফলেই যে বামেদের কার্যালয় উদ্ধার সম্ভব হচ্ছে তা মানতে নারাজ নরেন বাবু।
তিনি বলেন, সাধারন মানুষ রাজ্যে গণতান্ত্রিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে চাইছে।তারই প্রতিফলন ঘটছে মাত্র।তৃনমূলকে একহাত নিয়ে এইদিন বামেদের মেজো শরিক ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চ্যাটার্জী বলেন রাজ্যে বাম শক্তিকে দুর্বল করতে মমতা ব্যনার্জী ছিলেন খড়গহস্ত।
বাম কর্মীদের উপর আক্রমন, এমএলএ কেনা বেচা, দলীয় কার্যালয় দখল কর্মীদের গ্রামছাড়া করা, সর্বোপরি বামেদের উপর মানসিক চাপ সৃষ্টি করে পরিকাঠামগত ভাঙনের খেলায় নেমেছিলেন তিনি। আজকে কাছে পেতে চাইলেও আমরা তাঁর আহ্বানকে গুরুত্ব দিচ্ছি না, কারন তিনি নিজেই বিজেপির বড় শরিক।
প্রসঙ্গত, ৩৪ বৎসরেরে ক্ষমতা হারিয়ে সিংহ গর্জন এখন প্রায় ম্রিয়মাণ।
রাজ্যে শাসক দলের দাপটে ঘর ভেঙেছে, একে একে অনেক নেতা কর্মী সিংহ দুয়ার থেকে ঘাসফুল শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। কোচবিহার জেলায় ৯টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে একটি আসন এখনও ফরওয়ার্ড ব্লকের দখলে। বাকি ৮টি আসন তৃণমূলের। এই আসনগুলির মধ্যে চারজন বিধায়ক ফরওয়ার্ড ব্লকের এক সময়ের নেতা ও জনপ্রতিনিধি ছিলেন।
এমনকি এবারের লোকসভা নির্বাচনেও তৃণমূল প্রার্থী করেছিল রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্য মন্ত্রী তথা ফরওয়ার্ড ব্লকের এক সময়ের দাপুটে নেতা পরেশ চন্দ্র অধিকারীকে। শাসক দলের চাপে তাপে সিংহের ডেরা যেন প্রায় শূন্য হয়ে যাবার অবস্থা। কোচবিহার জেলায় বামেদের ইঞ্জিন ছিল ফরওয়ার্ড ব্লক। কিন্তু ক্ষমতাহীন হয়ে দল হারিয়েছেন বল।
তবে কোচবিহার লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের পরাজয়ে ফের কিছুটা হলেও অক্সিজেন পেয়েছে দলের নেতা কর্মীরা। ইতিমধ্যে দখল হয়ে যাওয়া বেশকিছু দলীয় কার্যালয় উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রেই তৃণমূল ছেড়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগদানের খবরও পাওয়া যাচ্ছে।এই ফিল গুড হাওয়ায় নিজেদের পায়ের তলার মাটিকে শক্ত করতে ময়দানে নেমেছে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584