নিজস্ব সংবাদদাতা, কলকাতাঃ
গর্বের শতবর্ষ। কাঁটাতার পেরোনোর স্পর্ধা, আবেগের দিনে করোনাকে পরাস্ত করে। সোশ্যাল ডিসটেন্স তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে সকাল সকাল ক্লাবে ভিড় করেছিলেন লাল হলুদ সমর্থকরা। লাল হলুদ পতাকা স্লোগানের মাঝে ছিল একরাশ আশা হয়তো ক্লাব কর্তারা স্পনসরের নাম ঘোষণা না করলেও কিছু একটা আভাস দেবেন কিন্তু যা হল তাতে কেবল নিরাশা ছাড়া কিছুই সম্বল নেই সমর্থকদের।
পতাকা তুলতে ক্লাবে উপস্থিত ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তার উপস্থিতিতে উদ্বোধন হল একশো বছরের ক্লাবের গর্বের লেখা বই। হল কেক কাটা। পুরস্কৃত করা হল আসিয়ান জয়ী কোচ সুভাষ ভৌমিক ও জাতীয় লীগ জয়ী কোচ মনোরঞ্জন ভট্টাচার্যকে। সব কিছুই হল কিন্তু আসলে খবর কোথায়! নিরাশ সমর্থকরা। দিশা কোথায় আইএসএল খেলার! কর্তারা যে একবিন্দু এগোতে পারেন নি স্পনসর আনতে, সেই পুরোনো টেপ বাজলো. ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার তো এমন মন্তব্য করলেন যে সর্মথকদের আবেগের কোনো মূল্য নেই তাঁদের কাছে।
তিনি বলেন, ‘দেশে তিরিশ কোটি মানুষের কাজ গিয়েছে করোনাতে। মানুষ দিশাহীন। সেখানে কিছু কিছু লোকের কাছে আমাদের আইএসএল খেলাটাই সব চেয়ে বড় সমস্যা আর কোনো সমস্যা নেই। আমরা তো চেষ্টা করেছি। করোনা সব শেষ করে দিল। সোশ্যাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে এতো বড় মিটিং হয় না। আটকে পড়েছি বিদেশ তো দূরের কথা দিল্লী যেতে পারছি না।খুব সমস্যা।’
তারা কি পদ ছাড়বেন ! সচিব কল্যাণ মজুমদার পদত্যাগ করতে রাজি থাকলেও রাজি নন দেবব্রত। বরঞ্চ নিজের তুলে আনা ঘনিষ্টকর্তাদের নাম করে জানান, ‘মেম্বারদের ক্লাব তারা ঠিক করবেন কে আসবে কে থাকবে। আর আমি তো চাই নতুন মুখ উঠে আসুক। সেই কারণে কমিটিতে রূপক সাহা, সৈকত গঙ্গোপাধ্যায়দের রেখেছি।’
এদিকে কর্তারা যে প্রাক্তন প্লেয়ারদের দ্বারা চাপে থাকবেন তারও উপায় নেই। তারাও ক্লাব কর্তাদের সমর্থন করলেন। সুভাষ ভৌমিক যেমন জানান, ‘ইস্টবেঙ্গলকে আইএসএল খেলতে হবে না তারা আই লীগই খেলুক। ইস্টবেঙ্গল না থাকলে দেখবো আইএসএল কেমন জনপ্রিয় হয় ! ওরা নিজেরাই চাইবে ইস্টবেঙ্গলকে। ক্লাব কর্তাদের বলবো আইএসএল খেলার জন্য তাড়াহুড়ো না করতে।
আরও পড়ুনঃ মোহনবাগানের সৌরভকে সাহায্য ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের
ইস্টবেঙ্গলের যা অবদান আছে তার সিকিভাগ নেই আইএসএলের প্রত্যেকটা দলের। আর ওদের সঙ্গে এমন ব্যবহার।’ এদিকে ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ‘আইএসএলের দশ পুরুষের ভাগ্য ভালো হবে ইস্টবেঙ্গল আইএসএল খেললে ওরা এই ক্লাবের সঙ্গে এমন করছে। ভারতীয় ফুটবলের জন্য কি করেছে আইএসএল।‘
শতবর্ষের জন্মদিনেও নেই আইএসএল নিয়ে আশা। অন্য দিকে কাঁটা ঘায়ের নুনের ছিটে চিরপ্রতিপক্ষ ক্লাবের আইএসএল খেলা ক্লাবকর্তা ও প্রাক্তনদের কাছে না হলেও সমর্থকদের কাছে যে এটা কষ্টের শতবর্ষ সেটা বলাই যায়।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584