নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝাড়গ্রামঃ
“রাজনৈতিক যুদ্ধ এখন নয়, এখন করোনা ও আমপানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ।” ঝাড়গ্রাম জেলায় আমপানের ক্ষয়-ক্ষতি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে এমনটাই বললেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়।পার্থ চট্টোপাধ্যায় আরো জানান ঝাড়গ্রামের ক্ষয়ক্ষতি অন্যজায়গার তুলনায় অনেক কম। চাষে ৬১ শতাংশ ক্ষতি হয়েছে। এখনও হিসেব চলছে। সমস্ত আধিকারিকরাও এদিন আসেন এলাকা পরিদর্শনে। মাটির বাড়ি ভেঙে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে, এজন্য পুলিশ-প্রশাসনকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানান মন্ত্রী।

জেলাশাসককে বলেন, তাড়াতাড়ি সমীক্ষা করে তাদের হাতে ত্রিপল ও অ্যাসবেট্রাস তুলে দিতে। স্কুলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, অনেক জায়গায় জলেরও অসুবিধা দেখা দিয়েছে। অনেক স্কুল বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। যদিও সেই সংখ্যা অনেকটা কম। কিচেনের শেড উড়ে গিয়েছে, টয়লেট নষ্ট হয়েছে। এই সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।

যদিও এটা চূড়ান্ত রিপোর্ট নয়। যেভাবে হাওড়া, হুগলি, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেই তুলনায় ঝাড়গ্রাম নিঃসন্দেহে ক্ষতির পরিমাণ কম বলেই মনে করা হচ্ছে। মন্ত্রী আরো বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের প্রচুর আনাগোনা এখানে। তা দক্ষতার সাথে মোকাবিলা করেছে জেলা প্রশাসন। আইসোলেশন সেন্টারে রাখা, খাওয়া দাওয়া করানো হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ আমপান বিধ্বস্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনা পরিদর্শনে মুখ্যমন্ত্রী, পানীয় জল নিশ্চিত করার নির্দেশ

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “শহরাঞ্চলের কিছু কিছু জায়গায় অভাব দেখা দিয়েছে, তা নিয়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রথম রিপোর্ট অনুযায়ী যা দিয়েছেন, তা নিয়ে কলকাতায় যাব।” তিনি বলেন, ঝাড়গ্রামবাসীর কাছে আশ্বস্ত করতে চায়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার সবসময় তাদের পাশে ছিল, আজও আছে, আগামী দিনেও থাকবে। তাদের সর্বশক্তি নিয়ে জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি থাকবে।
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584