বিশেষ সংবাদদাতা , ৫ ই মার্চ ,পূর্বমেদিনীপুর:
সরকারি সম্পত্তিকে বেআইনি ভাবে হস্তান্তর করে , পরে তা আবার বিক্রি করে ব্যাপক মুনাফা লাভের চক্রান্ত ফাঁস হয়ে কিছুদিন আগেই ৷ শুধু তাই নয় বিক্রিত সম্পত্তিতে মাদ্রাসার হোস্টেল নির্মানের অজুহাত দেখিয়ে ২ কোটি টাকার অনুদান চেয়ে আবেদন করেন রাজ্য সরকারের কাছে | এই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে পূর্বমেদিনী পুরের গিমাগেরিয়া ওয়েলফেয়ার হাই মাদ্রাসার পরিচালন কমিটির বিরুদ্ধে | গোটা ঘটনার মূল হোতা আহম্মদ হোসেন শাহ নামে ঐ মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক | যিনি ওই মাদ্রাসার পরি চালন কমেটির সভাপতি পদও আগলে রয়েছেন | সবচেয়ে আশ্চর্য কান্ড হল তিনিই নাকি মাত্র ৬ বছর বয়সেই উক্ত মাদ্রাসাটিরপ্রতিষ্ঠাতা সদস্য ৷ গিমাগেড়্যা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র এবং বি.এড কলেজেরও তিনি মালিক । তিনি এলাকায় বেশ প্রভাবশালী বলে পরিচিত |
বিভিন্ন দৈনিক পত্র-পত্রিকায় ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে খবর প্রকাশের ফলেই রাজ্য প্রশাসন তান্তের নির্দেশ দেন ৷ আজ বৈকাল ৩টার সময় সরকারি উচ্চ পর্যায়ের অফিসার তদন্ত করতে যান পূর্ব মেদিনীপুরের গিমাগেরিয়া মাদ্রাসায় | এই তদন্তেকারী দলে অন্যতম সদস্য ছিলেন –মাদ্রাসা শিক্ষা অধিকর্তা আবিদ হোসেন সাহেব।
কিন্তু তদন্তকালীন ঘটনায় দেখা যাচ্ছে যে , গিমাগেরিয়া মাদ্রাসায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আহম্মদ হোসেন বসে আছেন আর আবিদ হোসেন সাহেব দাঁড়িয়ে আছেন। আর ফলমূল দিয়ে আবিদ হোসেন সাহেবকে বসে বসে সম্মান প্রদর্শন করছেন গিমাগেরিয়া মাদ্রাসার সম্পত্তি হস্তান্তর কারী আহম্মদ হোসেন । তদন্তকারী অফিসারকে দুধ-কলা ,ফলমূল দিয়ে আদর-আপ্যায়ন !!! আর এখানেই কপালে চিন্তার ভাঁজ বুদ্ধিজীবী মহলের I এটা কি তদন্ত!! না প্রহসন ??এত সাহসের উৎস টা কোথায়??শিক্ষামহলে এই নিয়ে তুমূল চর্চা…..। প্রশাসনের প্রচ্ছন্ন মদত ছাড়া কি এইসব সম্ভব ? প্রশ্ন সচেতন নাগরিক , শিক্ষা মহল ও বুদ্ধিজীবীদের |
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584