নিজস্ব সংবাদদাতা,পূর্ব মেদিনীপুরঃ
মহামারি করোনা আবহের জেরে চারিদিকে আতঙ্কের পরিবেশ ।স্বাস্থ্য দফতর থেকে শুরু করে জেলা প্রশাসনের নির্দেশ অনুসারে এক সাথে বেশী মানুষের জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, এই পরিস্থিতির মধ্যেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুরের আড়গোয়ালের ছোট উদয়পুরের বাসিন্দা প্রসূন আচার্য্য বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷
জানা গেছে ছোট উদয়পুরের বাসিন্দা প্রসূন আচার্য্য পাহাড়পুর জ্ঞানেন্দ্র ঝাড়েশ্বর বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষক।এই শিক্ষক বুধবার নিজের বাসভবনে বধূবরণ ও প্রীতিভোজের আয়োজন করেন৷ করোনার আবহে আশানুরূপ তেমন আয়োজন করতে পারেনি আচার্য্য পরিবার। তাই সেই আক্ষেপের পরিপ্রক্ষিতে এক অভিনব উদ্যোগ গ্রহন করেন আচার্য্য পরিবার ৷
বধূবরণ ও প্রীতিভোজের অনুষ্ঠানের খরচ বাচিয়ে এলাকার মোট ৫০ জন দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র- ছাত্রীদের রসায়ন বিভাগের বই,ও অন্যান্য শিক্ষা উপকরণ তুলে দিলেন নববিবাহিত এই শিক্ষক ও তাঁর স্ত্রী। জানা গেছে এই পড়ুয়াদের বই ও শিক্ষা সামগ্রী প্রদানের সঙ্গে একটি করে লেবু গাছের চারা ও তুলে দেওয়া হয় ৷ আর এই নয়া উদ্যোগ দেখে যথেষ্ট আপ্লুত হয়েছে এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বিভিন্ন সমাজসেবী সংগঠনের মানুষেরা ৷ এই শিক্ষকের বাবা প্রণবেশ আচার্য্য, মা সবিতা দেবী বলেন,ছেলের এই মহৎ উদ্যোগে সামিল হয়ে খুব ভালো লাগছে ৷ বোন পৌষালি আচার্য্য বলেন দাদার নতুন ধরণের প্রয়াস প্রশংসনীয় ।
আরও পড়ুনঃ নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে সংস্কৃতি কর্মীদের স্মারকলিপি পেশ
আরও বলেন দাদার নতুন জীবনের সূচনায় বহু মানুষের উপকার হয়েছে দেখে আর ও বেশি ভালো লাগছে ।নিজেদের বিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের শিক্ষকের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া ছাত্র- ছাত্রীদের কথায় আমারা নববধূর প্রীতিভোজে আমন্ত্রিত হয়ে যোগদান করতে এসে শিক্ষা সামগ্রী নিয়ে যাবো কখনো ভাবিনি,আমরা খুব আনন্দিত যে এই শিক্ষক এই ধরণের মহৎ উদ্যোগ গ্রহণ করায় ।এই প্রসঙ্গে নববধূ রুমা বটব্যাল (আচার্য্য) বলেন, ,’স্বামীর এই মহান উদ্যোগ আগামী দিনে শিক্ষাকে আরও পথ দেখাবে বলে মনে হয়।’
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584