সুদীপ পাল,বর্ধমানঃ

শ্রমিক সংগঠনগুলির ডাকা দু’দিনের ধর্মঘটের প্রথম দিনে মিশ্র প্রভাব দেখা গেল দুর্গাপুরে। যদিও শাসক দলের অনেকের মতে বনধ হয়নি।তবে একথা ঠিক, বনধ ঘিরে দুর্গাপুরে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।বনধ ব্যর্থ করতে ও কারখানার উৎপাদন স্বাভাবিক রাখতে ভোর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রমিক সংগঠন আইএনটিটিইউসিও দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সামনে পিকেটিং শুরু করেছিল।দুর্গাপুরের অন্যান্য জায়গায় এবং পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন জায়গায় সংগঠনের তরফ থেকে বনধের জন্য চেষ্টা করা হয় এবং তার প্রভাব দেখা যায় এলাকায়।যদিও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগে বনধ খুব দীর্ঘস্থায়ী হয়নি বলেই অনেকের মত। যদিও দুর্গাপুরে রেললাইন অবরোধ করা হয় এবং তার জেরে ময়ূরাক্ষী ফাস্ট প্যাসেঞ্জার, শক্তিপুঞ্জ এক্সপ্রেস প্রভৃতি ট্রেন আটকে যায়।বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকার পরে অবশেষে পুলিশি তৎপরতায় রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক হয়।জানা যায় এজন্য প্রায় ৪০ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। অন্যদিকে বর্ধমান শহরের কার্জন গেট চত্বরে পুলিশের সাথে বনধ সমর্থকদের হাতাহাতি হয়। রাজনৈতিক মহলের মতে,বর্ধমান ছিল বামেদের লাল দুর্গ। সেখানেই বনধের মিশ্র প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: ধর্মঘটের সমর্থন, বিরোধীতায় উত্তাল মেদিনীপুর
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584