দেবীর ভোগে সেদ্ধ হাঁসের ডিম,মাছ ও মাংস

0
139

নিজস্ব সংবাদদাতা,ঝাড়গ্রামঃ

চিল্কিগড় রাজবাড়ির কুলদেবী কনক দুর্গার পুজো ঘিরে জড়িয়ে আছে নানা গল্পকথা।আর এর সঙ্গে রয়েছে চিল্কিগড়ের রাজ পরিবারের সাড়ে চারশো বছরেরও বেশি সময়ের ইতিহাস। ঝাড়গ্রাম থেকে মাত্র পনের কিলোমিটার।ডুলুং নদীর তীরে ছবির মত চিলকিগড়।

egg and fish is the prasad | newsfront.co
নিজস্ব চিত্র

গা ছমছমে গভীর জঙ্গলের মধ্যে কনক দুর্গার মন্দির।দেবী কনক দুর্গা এখানে দুর্গা রূপে পূজিতা হয়ে আসছেন।অষ্টধাতুর দুর্গা এখানে অশ্বারোহিনী চতুর্ভূজা।আজও নাকি অষ্টমীর রাতে গভীর জঙ্গলের মধ্যে নিজেই নিজের ভোগ রাঁধেন দুর্গা।

ভাত, খিচুড়ি, পঞ্চব্যঞ্জন তো আছেই, চিল্কিগড়ের কনকদুর্গা মন্দিরে দেবী দুর্গার ভোগে দেওয়া হয় হাঁসের ডিমও।শুধু দুর্গাপুজোর সময় নয়, নিত্যপুজোয় দেবীর অন্নভোগের সময় রোজ দেওয়া হয় একটি করে হাঁসের ডিম।মনের ইচ্ছা পূরণের জন্যও দেবীকে হাঁসের ডিম দেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে।দুর্গা পুজোর চারদিনেও একই নিয়মে হয় পুজো।

আরও পড়ুনঃ ঝাড়গ্রামের সেনগুপ্ত পরিবারে কাঁচা শাকসব্জিই মায়ের ভোগ

পূজারী আতঙ্কভঞ্জন ষড়ঙ্গী,গৌতম ষড়ঙ্গী-রা জানালেন,অন্য দিনের মতো শারদীয় দুর্গাপুজোর দিনগুলিতেও ষোড়শোপচারে দেবীর পুজো হয়।নৈবেদ্যে ফলমিষ্টি থাকে।দুপুরে অন্নভোগে ঘি-ভাত,খিচুড়ি,পঞ্চব্যঞ্জন,পায়েস, হাঁসের ডিম ও মাছ দেওয়া হয়।

হাঁসের ডিমের ভোগকে বলা হয় গঞ্জভোগ।সেদ্ধ হাঁসের ডিম তন্ত্র মতে শোধন করে অন্নভোগের মাঝে দেবীকে নিবেদন করা হয়।সপ্তমী থেকে নবমী তিনদিনই দেবীর গঞ্জভোগে অন্ন,পঞ্চব্যঞ্জন,পায়েস,মাছ, হাঁসের ডিম থাকে।

নবমীর দুপুরে হয় কালো পাঁঠার মাংসের বিরাম ভোগ।মন্দিরে প্রাঙ্গণে পাঁঠা,ভেড়া ও মোষ বলি হয়।তবে বলির মাংসের ভোগ দেবীকে দেওয়া হয় না।

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here