ঝাড়গ্রামে আদিবাসীদের এখ্যান পরব পালন

0
104

কার্ত্তিক গুহ,ঝাড়গ্রামঃ

ekhyan festival of tribals at jhargram
নিজস্ব চিত্র

এদিন ঝাড়গ্রাম জেলার মানুষ মেতে উঠল ‘এখ্যান পরবে’।এই উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রাম ব্লকের আমলাচটি গ্রামে ‘গরাম পুজো’ করেন প্রাক্তন অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণমন্ত্রী চূড়ামণি মাহাত। আমলাচটি গ্রামের গরাম পুজোর লায়া অর্থাৎ পূজারী প্রাক্তন মন্ত্রী নিজেই।মাঘ মাসের প্রথম দিনটি জঙ্গলমহলের মূলবাসীদের কৃষি নববর্ষ হিসাবে পালিত হয়।মকর পরবের পর এই দিনটি বিশেষ আনন্দের দিন।

ekhyan festival of tribals at jhargram 2
পূজারী প্রাক্তন মন্ত্রী। নিজস্ব চিত্র

ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু অঞ্চল, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, বাঁশপাহাড়ি, শিলদা, ওড়গোন্দা, বিনপুর, কাঁকো, আঁধারিয়া, দহিজুড়ি, জামবনী, গোপীবল্লভপুর, নয়াগ্রাম, ঝাড়গ্রাম ব্লকের বিভিন্ন গ্রাম ছাড়াও শহরের সাবিত্রী মন্দির মোড়, শ্মশানকালী মন্দির মোড়ে ‘গরাম পুজো’ বা গ্রাম দেবতার পুজো হয়। গরাম থানে এদিন পোড়া মাটির হাতি ও ঘোড়ার ছলন মূর্তি দিয়ে গ্রাম দেবতার পুজো করা হয়। প্রচলিত বিশ্বাস,এই বিশেষ দিনে গরাম ঠাকুরকে সন্তুষ্ট করলে সারা বছর তিনি গ্রাম ও গ্রামবাসীদের বিপদ থেকে রক্ষা করবেন।পুজোর পর গরাম দেবতার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য গরাম থানে হাঁস, মুরুগি, পায়রা, ছাগল ও শুয়োর বলি দেওয়া হয়।প্রতিটি গরাম থানের পুজোকে কেন্দ্র করে ছোট থেকে বড় নানা ধরনের মেলা বসে।
দিনটি জঙ্গলমহলের মূলবাসীদের কাছে এখ্যান যাত্রার দিন।এদিন কৃষকরা কৃষিজমিতে তিনবার লাঙল চালিয়ে প্রতীকী কর্ষণ করেন।নতুন কৃষি বর্ষের সূচনায় এই জমি কর্ষণকে হালচার বলে।শীতের এই মরসুমে মূলবাসীদের বিশেষ পরব শত কষ্টের মধ্যেও নতুন প্রাণ শক্তি ফিরিয়ে দেয়।

আরও পড়ুনঃ বালুরঘাট মহিলা কলেজে রক্তদান বিষয়ক সার্টিফিকেট কোর্সের সূচনা

নিউজফ্রন্ট এর ফেসবুক পেজে লাইক দিতে এখানে ক্লিক করুন
WhatsApp এ নিউজ পেতে জয়েন করুন আমাদের WhatsApp গ্রুপে
আপনার মতামত বা নিউজ পাঠান এই নম্বরে : +91 94745 60584

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here